তুরিন: দিনকয়েক আগে তুরিনের ঠিকানা থেকে তাঁর একাধিক গাড়ি ঠিকানা বদল করেছিল। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী মাদ্রিদের তাঁর বাসভবন ‘লা ফিন্সা’-তে গাড়িগুলো সরিয়ে নিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। আর এরপর থেকেই ফুটবল মহলে জল্পনা জুভেন্তাসের সঙ্গে কী তবে মধুচন্দ্রিমা শেষ হচ্ছে পর্তুগিজ তারকার? তার স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। যদিও পরে জানা যায় জায়গার অভাবেই সেগুলো তুরিন থেকে সরিয়ে নিয়েছেন ‘সিআর সেভেন’।

এরইমধ্যে ফের এক ইনস্টা পোস্টে জুভেন্তাস ছাড়ার জল্পনাটা আরও বাড়িয়ে দিলেন ক্রিশ্চিয়ানো। লিগের শেষ ম্যাচে মাঠে নামেননি। তবু সদ্য শেষ হওয়া ঘরোয়া মরশুমে সিরি এ গোল্ডেন বুট জিতেছেন তিনি। দল সিরি এ খেতাব খোয়ালেও কোপা ইতালিয়া জিতেছে। সবমিলিয়ে মরশুম শেষ হওয়ায় পর ইনস্টা পোস্টে আবেগঘন রোনাল্ডো। চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলানকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি দলের পারফরম্যান্সে তিনি খুশি বলেই জানিয়েছেন। এমনকি ‘ওল্ড লেডি’-র হয়ে শুরুর দিন থেকে তিনি যে কৃতিত্ব ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটাও পূর্ণ হয়েছে বলে দাবি পর্তুগিজের।

ইনস্টা পোস্টে রোনাল্ডো লিখেছেন, ‘যে কোনও শীর্ষে থাকা প্লেয়ারের জীবন এবং কেরিয়ারে চরাই-উতরাই থাকে। এবছর আমরা সিরি এ জিততে পারিনি। ইন্টারকে অভিনন্দন। ওরাই জয়ের যোগ্য ছিল। তবে আমরা এই মরশুমে যা কিছু পেয়েছি সেগুলোকে মূল্য দিতেই হবে। তা সেটা ব্যক্তিগত স্তরেই হোক কিংবা দলগতভাবে। ইতালিয়ান সুপার কাপ, ইতালিয়ান কাপ এবং সিরি এ-র শীর্ষ গোলদাতার সম্মান আমাকে আনন্দ দিয়েছে। বিশেষ করে হাজারো প্রতিবন্ধকতার মধ্যে থেকে। কারণ এদেশে কিছুই সহজে জয় করা যায় না।’ ইতালিতে এসে প্রথম সারির তিন প্রতিযোগীতায় সর্বাধিক গোলস্কোরার হওয়ার স্বপ্নই তিনি এতদিন লালন-পালন করেছেন বলেই জানিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো।

পাশাপাশি ইংল্যান্ড, স্পেন কিংবা ইতালিতে খেলা সমস্ত ক্লাবের হয়েই তাঁর ১০০ গোলের নজিরের বিষয়টিও বার্তায় উল্লেখ করেছেন কিংবদন্তি। শেষ করার আগে পর্তুগিজ তারকা বলছেন, ‘এটা অনুভব করে আমি আনন্দ পাই যে, যেখানেই আমি খেলি না কেন সবসময় নিজের ছাপ রেখেছি। আমি অনুরাগীদের আনন্দ দিয়েছি, আমার ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করেছি। আমি এটাই করে যেতে চাই, আমি এভাবেই ছুটে যেতে চাই কেরিয়ারের শেষ দিন অবধি। সকলকে ধন্যবাদ যারা এই জার্নিতে আমায় সঙ্গ দিয়েছেন। আমরা সবসময় একসাথে আছি।’

আবেগঘন এই বার্তা কী তাহলে জুভেন্তাস ছাড়ার ইঙ্গিত। আরও একটা মরশুম তুরিনের ক্লাবের সঙ্গে রোনাল্ডোর চুক্তি রয়েছে। কিন্তু তিনি কী থাকবেন, উত্তর দেবে সময়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.