স্টাফ রিপোর্টার, বাঁকুড়া : একে করোনা পরিস্থিতি। তার মধ্যেই আবার একরাশ আতঙ্ক ছড়িয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস'(yaas)। চিন্তায় বাঁকুড়া জেলাও। কারন পশ্চিমাঞ্চল ঘেঁষেই সেই ঝড় (storm) এগিয়ে যাবে ঝাড়খণ্ডের দিকে। বেশি চিন্তায় সেখানকার চাষীরা।
সূত্রের খবর, বুধবার রাতে ‘ইয়াশে’র প্রকোপে প্রবল ক্ষতির সম্ভাবনা বাঁকুড়া সদর মহকুমা ও খাতড়া মহকুমা এলাকা। আর ঠিক সেই কারণেই ঐ দুই মহকুমা প্রশাসনের তরফে ‘ইয়াশ’ পরবর্ত্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমস্ত ধরণের প্রস্তুতি সেরে ফেলা হয়েছে। এই মুহূর্তে জেলায় ১৫ হাজার হেক্টর বোরো ধান, তিল জাতীয় তেল শস্য ২৫ হাজার হেক্টর ও বিভিন্ন ধরণের মরশুমী সবজি ৮ হাজার হেক্টর রয়েছে। ‘ইয়াশে’র প্রকোপে প্রবল ক্ষতির সম্ভাবনা এই চাষাবাদে।
জেলা মুখ্য কৃষি অধিকর্তা সুশান্ত মহাপাত্র বলেন, আশার কথা বোরো ধান প্রায় কৃষকের বাড়িতে উঠে গেছে ও উঠছে। তবে তিল ও সবজি চাষে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এই অবস্থায় কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদের বারবার সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। এর পরেও ঘূর্ণিঝড়(cyclone) ও বৃষ্টির(rain) কারণে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা বীমার টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে যাতে পান তার ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।
জেলা সরকারী ঘোষণা বলছে আগামী বুধবার রাত ৮ টা নাগাদ বাঁকুড়ায় প্রবেশ করতে পারে। আর ঠিক সেই কারণেই জেলা জুড়ে লাল সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। জেলায় ২৪ ঘন্টা হেল্প লাইন খোলার পাশাপাশি প্রতিটি ব্লক এলাকায় সরকারীভাবে মাইক প্রচারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজ চলছে।
বুধবার দুপুরে বুধবার দুপুরে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রূপে ইয়াস ওড়িশার পারাদ্বীপ ও পশ্চিমবঙ্গের দিঘার মধ্যে ওড়িশার বালেশ্বরের (Balasore) কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে। তার পরে ঝাড়খণ্ডের দিকে এগিয়ে যাবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরে (East Midnapur) সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে। তার পর প্রভাব পর্বে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) উপকূলের জেলায়। তার পর প্রভাব পড়বে ঝাড়গ্রামে।”
মৌসম ভবন সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এই মুহূর্তে ১৭.৮ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৮.৯ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থান করছে। এই মুহূর্তে ওড়িশার (Odisha) পারাদ্বীপ থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব, ওড়িশার বালেশ্বর থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দূরে ইয়াস অবস্থান করছে।
আজ মঙ্গলবার রাতের মধ্যে ইয়াস আরও শক্তি সঞ্চয় করে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। এর পর আরও উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার সকালের মধ্যে এই অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ ও ওডিশার স্থলভাগের কাছে পৌঁছনোর কথা ইয়াস-এর।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.