মিউনিখ: জল্পনায় সিলমোহর পড়ল বলা যায়। জার্মানির(Germany) সিনিয়র ফুটবল দলের নয়া কোচ হলেন বায়ার্ন মিউনিখে(Bayern Munich) সদ্য প্রাক্তন হওয়া হান্সি ফ্লিক(Hansi Flick)। আসন্ন ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের(EURO 2020) পরেই জোয়াকিম লো(Joachim Low)-র স্থলাভিষিক্ত হবেন ফ্লিক। মঙ্গলবার জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন(DFB) জানিয়ে দিল সেকথা। ঘরের মাঠে ২০২৪ ইউরো কাপ অবধি ফ্লিকের সঙ্গে প্রাথমিক চুক্তি করেছে জার্মানি।
এর আগে জার্মান জাতীয় দলে ২০১৪ অবধি জোয়াকিম লো-র সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন ফ্লিক। ২০১৪ বিশ্বজয়ী জার্মান দলের স্ট্র্যাটেজি তৈরির নেপথ্যে ফ্লিকেরও হাত ছিল। এবার হেড কোচ হিসেবে জার্মানির জাতীয় দলের দায়িত্ব পেয়ে খুশি বায়ার্নের সদ্য প্রাক্তনী। জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন তাঁকে কোচের পদে আসীন করায় ফ্লিক জানিয়েছেন, ‘সুযোগটা আমার কাছে আচমকা এসেছে। তবে জাতীয় কোচ হিসেবে কাজ করতে পারব ভেবে আমি ভীষণ খুশি। দলে ভালোমানের একাধিক ফুটবলার রয়েছে, বিশেষ করে তরুণ ফুটবলাররা। আমি তাদের সঙ্গে কাজ শুরু করতে মুখিয়ে রয়েছি।’
ফ্লিক বলেছেন, পরবর্তী টুর্নামেন্টগুলো নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী হওয়ার যথেষ্ট কারণ আমাদের হাতে রয়েছে। বায়ার্নের কোচের হটসিটে মাত্র ১৮ মাস দায়িত্ব সামলে মুলার(Thomas Muller)-লেওয়ানদোস্কিদের(Robert Lewandowski) সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিয়েছিলেন ফ্লিক। ২০১৯-২০ মরশুমে ফ্লিকের কোচিংয়ে ৬টি খেতাব জেতে বাভারিয়ানরা(Bavarians)। সাত বছর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের(UCL) স্বাদ পায় তারা। ২০২০-২১ মরশুমে সেই খেতাব ধরে রাখতে না পারলেও রেকর্ড বর্ধিত করে টানা নবমবার বুন্দেসলিগা(Bundesliga) জিতেছে বায়ার্ন। আর বায়ার্নে তাঁর কোচিংয়ের অভিজ্ঞতাই জাতীয় দলের কোচিংয়ে পাথেয় হয়ে উঠবে বলে দাবি করেছেন ফ্লিক।
২০২০-২১ মরশুম শেষে বায়ার্নের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণার পর থেকেই হান্সি ফ্লিককে নিয়ে চলছিল জল্পনা। অন্যদিকে জোয়াকিম লো ইউরোর পর জার্মানির কোচের পদ ছাড়ছেন সেটাও ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল আগেই। সবমিলিয়ে লো-র জুতোয় ফ্লিকের পা গলানোর বিষয়টা একপ্রকার ‘ওপেন সিক্রেট’ হয়ে উঠেছিল। ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ (Football WC 2022) ফ্লিকের প্রথম বড় পরীক্ষা। তবে ক্লাব ফুটবলে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসা অনেক পরিচিত মুখকে জাতীয় দলে পুনরায় পাবেন ফ্লিক। ফলত কাজটা সহজ হতে পারে ফ্লিকের। উল্লেখ্য বায়ার্নের ন্যুয়ের, কিমিচ, গোরেৎস্কা, ন্যাবরি, মুলাররাই জার্মানি দলের মেরুদণ্ড।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.