লখনউঃ গত বছর দেশে মারণ ভাইরাসের সূচনা পর্ব থেকে শিক্ষা ব্যবস্থা একরকম হয়ে উঠেছে অনলাইন নির্ভর। এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ রোধে একাধিক রাজ্য ইতিমধ্যেই শরণাপন্ন হয়েছে কারফিউ থেকে লকডাউনের। ফের গৃহবন্দি মানুষজন। এহেন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে আসন্ন বোর্ড পরীক্ষা গুলি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে শিক্ষার্থী থেকে শিক্ষক মহলে। ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্য পরীক্ষা ছাড়াই পরের ক্লাসে উত্তীর্ণ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। এবার কি তাহলে সেই তালিকায় জুড়তে চলল দেশের বৃহত্তম রাজ্যের স্কুল শিক্ষা বোর্ড, তথা ইউপি বোর্ড (UP Board)! এদিন সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের তরফে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সেই সম্ভাবনা জিইয়ে রইল।

ইতোমধ্যে উত্তরপ্রদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিল একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। এ কারণে জল্পনা আবারও বেড়েছে যে দশমের পাশাপাশি দ্বাদশ শ্রেণির (12th exam) শিক্ষার্থীরাও সরাসরি পাস হতে পারে কিনা। তবে জানা যাচ্ছে, ওই রাজ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিল দ্বি-মুখী প্রস্তুতে নিযুক্ত রয়েছে। পরীক্ষার বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাথে সাথেই তা নিশ্চিত করা হবে। একইভাবে, যদি পরীক্ষা ছাড়া বিকল্প পদ্ধতিতে পাশ করানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়, তাহলে বোর্ড দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল প্রকাশের পদ্ধতিও জানাবে।

উল্লেখ্য, গোটা দেশে যখন প্রাণঘাতী ভাইরাসের (Corona) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মগ্ন,তখন বোর্ড পরীক্ষা বাতিলের (Exam Cancel) দাবিতে সারাদেশে আওয়াজ উঠছে। দেশের সব বিরোধী দলের নেতারাও এটিকে সমর্থন করেছেন। সেখানে উত্তরপ্রদেশ বোর্ডের দশম ও দ্বাদশ শ্রেনীর পরীক্ষা নিয়ে জল্পনা আরও তীব্র হল।

প্রসঙ্গত, ক্রমশই নিচের দিকে নামছে করোনার গ্রাফ। এবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা নামল ২ লক্ষেও নিচে। নেমেছে মৃতের সংখ্যাও। পাশাপাশি গতকালের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে সুস্থতার হার। সব মিলিয়ে আশা জাগাচ্ছে দেশের করোনা পরিস্থিতি। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Health Ministry) দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৯৬ হাজার ৪২৭ জন। সোমবারের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা এদিন অনেকটাই কম। সোমবার ২ লক্ষ ২২ হাজার ৩১৫ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.