ঢাকা: এবার ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ বাংলাদেশে। এতে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনদিন আগে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ছিলেন।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের হামলায় ভারতে বাড়ছে মৃত্যু। করোনা রোগীদের দেহে এই ছত্রাকের হামলা হচ্ছে। বাংলাদেশে মৃত ব্যক্তির বযস ৬৫ বছর। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রোগীর অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও কিডনির সমস্যা ছিল। তিনি কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছিলেন। চিকিৎসার সময় তিনি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ছিলেন। তবে সেসময় এটি বোঝা যায়নি। মৃত্যুর পর এটা জানা গেল।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত আরও একজন রোগী চিকিৎসাধীন। তার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয় বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত আরও একজন রোগীকে অন্য হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের হামলা চিন্তাজনক। প্রতিবেশি ভারতে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর পাশাপাশি এই ছত্রাক সংক্রমণ শুরু হয়েছে। ভারতে সুস্থ হয়ে ওঠা করোনা রোগীদের মধ্যে কয়েক হাজার ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের শিকার। এই ছত্রাক সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত করোনা থেকে সেরে ওঠার ১২ থেকে ১৮ দিন পর ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।
বিশ্ব জুড়ে চলছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ নিয়ে গবেষণা। করোনার পাশাপাশি এই ছত্রাকের হামলায় মৃত্যু হার ৫০ শতাংশের মতো বলেই গবেষকদের দাবি। তাঁরা জানিয়েছেন, অনেক সময় আক্রান্তের প্রাণরক্ষায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চোখ বা চোয়ালের হাড় অপসারণ করতে হয়।
ভারতেও আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার মানুষ গোটা ভারতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এই রোগ করোনার মতো সংক্রামক নয়। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রসঙ্গে এইমস-এর প্রধান বলেন, “ যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারাই মিউকরমাইকোসিস , ক্যান্ডিদা (Candida ) এবং এস্পেরগিলাস(Aspergillus) দ্বারা সংক্রমিত হচ্ছে। এই ছত্রাকগুলি সাধারণত নাক, চোখের চারপাশে হাড়ের মধ্যে পাওয়া যায় এমনকি মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে, যা মাঝে মাঝে ফুসফুসে বা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টে পাওয়া যায়।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.