অনুস্মিতা ভট্টাচার্য: “ভীষণ ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। বন্ধুর বাড়ি শিফট করে গেছি।
ধামরা পোর্ট কলোনিতে থাকি। চিন্তায় আছি”- প্রচন্ড আশঙ্কা নিয়ে আমাদের ফোনে জানালেন ওডিশার ধামরার নিবাসী সুজয়া বসু।
তিনি পেশায় স্কুল শিক্ষিকা।
কলকাতার অফিস থেকে আমরা যখন তাকে ফোন করলাম তখন তিনি বন্ধুর বাড়িতেই বসে রয়েছেন।
সেখান থেকেই তার এলাকায় ইয়াসের (cyclone yaas) সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে আলোচনা করলেন আমাদের সঙ্গে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপট যে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ওডিশা রাজ্যে (odissa) পড়তে চলেছে এই কথা আমরা সকলেই জানি।
সেখানকার বাসিন্দার কণ্ঠস্বরে মিশ্রিত রয়েছে উৎকণ্ঠা।
আরো পড়ুন- আসছে বর্ষা, শিশুদের জন্যে ৫ টিপস মাস্ট
স্বামীর সঙ্গে কর্মসূত্রে এক ছেলেকে নিয়ে সুজয়া দেবী ধামরাতে (odissa) রয়েছেন গত ২ বছর ধরেই।
আজ সকাল থেকেই তোড়জোড় চলছে। এরপর বিকেলের পর তারা চলে যান কাছাকাছি বন্ধুর বাড়ি নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে।
সঙ্গে রয়েছে জরুরীকালীন সব ব্যবস্থা। সমুদ্রের মধ্যে ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করছে এই ঘূর্ণিঝড় (yaas)।
শেষ পাওয়া আপডেট অনুযায়ী, ধামরার উপর দিয়ে আগামীকাল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (yaas) বয়ে যাবে তীব্র গতিতে।
এরপর তা বালেশ্বর হয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে চলে যাবে।
এদিকে রাজ্যে ইয়াস (yaas) পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রতিটি জেলা।
সম্প্রতি পাওয়া তথ্যের আপডেটের মধ্যে উল্লেখ করতে হয় যে এখনো পর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটি ও হালিশহরের ওপর দিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেল।
এর প্রভাবে ভেঙে পড়েছে বাড়ি, বৈদ্যুতিক পোস্ট। এমনকি হুগলির পাণ্ডুয়ায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২ ব্যক্তির।
বাঁকুড়ার বিভিন্ন অংশে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত চলছে। খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির, হেল্প লাইন।
প্রশাসন রয়েছে সজাগ।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর (weather update) জানিয়ে দিয়েছে যে বাংলায় ইয়াসের দাপট সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যাবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়।
অন্যদিকে, হাওয়া অফিস জানিয়েছে যে কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে এই ঝড়ের বেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৭০-৮০ কিমি।
তবে ইয়াসের (yaas) প্রভাবে আমফানের মতো প্রবল ক্ষতি হবে না কলকাতায় এমনটাই আশা করা যাচ্ছে।
কলকাতা ২৪x৭ এর তরফ থেকে আপনাদের সকলকেই অনুরোধ বাড়িতে থাকার এবং সুরক্ষিত জায়গায় থাকার।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.