নয়াদিল্লি: ফের উসকে উঠল অ্যালোপ্যাথি (Allopathy) বনাম পতঞ্জলি (Patanjali) বিতর্ক। করোনায় (COVID-19) আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন যোগগুরু রামদেবের পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের দুগ্ধজাত ব্যবসার প্রধান সুনীল বনসল। সোমবার সংস্থার তরফে এই খবর জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে তিনি অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করাচ্ছিলেন।
১৯ মে মারা যান সুনীল বনসল (Sunil Bansal)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। তিনি পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের দুগ্ধজাত বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ডেয়ারি সায়েন্সের বিশেষজ্ঞ ছিলেন তিনি। পতঞ্জলির সঙ্গে তিনি যুক্ত হন ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে। তখন পতঞ্জলি ঘোষণা করেছিল দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি করবে তারা। তার মধ্যে ছিল দই, বাটারমিল্ক ও চিজ। বনসলের মৃত্যুর পর হরিদ্বারের অফিস থেকে জানানো হয়, জয়পুরের রাজস্থান হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। বনসলের স্ত্রী সেখানে সিনিয়র হেল্ফ অফিসার। প্রসঙ্গত, বনসলের মৃত্যুর খবর তখনই এল যখন অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন রামদেব। বনসলের মৃত্যুর পর পতঞ্জলির তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, সেখানেও এর প্রভাব পড়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বনসালের চিকিৎসার পিছনে পতঞ্জলির কোনও ভূমিকা নেই। তাঁর স্ত্রী সম্পূর্ণভাবে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে ছিল পতঞ্জলি।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে রামদেব বলেছেন, অনেক মানুষ শুধু অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার জন্য মারা গিয়েছেন। যাঁরা চিকিৎসা বা অক্সিজেন পাননি বলে মারা গিয়েছেন, তাঁদের চেয়ে অনেক বেশি।” তিনি অ্যালপ্যাথিকে “নির্বোধ এবং দেউলিয়া” বিজ্ঞান হিসাবেও অভিহিত করেন। আধুনিক চিকিৎসা নিয়ে রামদেবের বিতর্কিত মন্তব্যের পর হর্ষ বর্ধন তাঁকে ২ পাতার চিঠি পাঠান। সেখানে তিনি লেখেন, “অ্য়ালোপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে আপনার মন্তব্যে দেশবাসী আহত হয়েছে। আমি আগেই এ নিয়ে আপনাকে ফোনে বলেছি। দেশবাসীর কাছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ভগবানের সমান। তাঁরা করোনার বিরুদ্ধে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়ছেন। আপনি শুধু করোনা যোদ্ধাদের অপমানিত করেননি, দেশের মানুষের অনুভূতিতেও আঘাত করেছেন। আপনার গতকালের উদ্ধৃতি এর জন্য যথেষ্ট নয়। আমি আশা করব আপনি আপনার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার ব্যাপারে ভালোমতো বিবেচনা করবেন।” এরপরই রামদেব নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.