টুলকিট মামলায় হস্তক্ষেপ করতে পারে আমেরিকা, পুলিশি হানার পর জল গড়িয়েছে টুইটারের সদর দফতরেও

বিজেপির টুলকিট কেসের জল এবার গড়াল আমেরিকার সদর দফতরেও। যার আঁচ এসে পড়ল দিল্লিতেও। এদিকে বিজেপির ম্যানিপুলেটেড টুইট নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল ভারতের রাজ্য-রাজনীতি। অন্যদিকে নোটিশ দেওয়ার পর গতকালই টুইটারের কার্যালয়ে এবার হানা দিল দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ টিম। তারপর থেকেই নড়েচড়ে বসেছেন মার্কিন মুলুকে টুইটারের কর্মকর্তারা।

দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের হানা

এদিকে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল এই অপারেশন চালিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু করেছেন টুইটারের ডেপুটি জেনারেল পরামর্শদাতা এবং ভিপি (আইনি) জিম বাকের। ইনি এর আগে এফবিআই কর্মকর্তা হিসাবেও কাজ করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর গোটা ঘটনায় মার্কিন প্রশাসনের হস্তক্ষেপও দাবি করতে পারে টুইটার।

জল গড়িয়েছে টুইটারের সদর দফতরেও

এদিকে করোনার কারণে ভারতে টুইটারের আঞ্চলিক অফিস ও কাজকর্ম বন্ধ থাকায় বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি দিল্লি পুলিশ, কথা বলা যায়নি বেশিরভাগ কর্মকর্তার সঙ্গেই। বর্তমানে টুইটারের গ্লোবাল হেডকোয়ার্টারের তরফে এই বিষয়ে পদক্ষেফ নেওয়া শুরু হলে জল আদপে কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার। তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গেই আগে কথা বলা হচ্ছে টুইটারের সদর দফতরের তরফে।

গত কয়েকমাসে টুইটার-ভারত সরকারের সম্পর্কে পারাপতন

সূত্রের খবর, গত কয়েক মাসে একাধিক ঘটনাকে কেন্দ্রকে টুইটার-ভারত সরকারের সম্পর্কের বেশ কিছুটা পারাপতন লক্ষ্য করা যায়। বাগবিতণ্ডাতেও জড়ায় দুপক্ষই। এমতাবস্থায় টুলকিট কেসই আগুনে নতুন করে ঘি ঢেলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রয়োজনে ভারত সরকাকে চ্যালেঞ্জ করে আইনি রাস্তাতেও হাঁটতে পারে টুইটার। এদিকে বিগত কয়েক দিন ধরেই বিজেপি বনাম কংগ্রেস এই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে।

স্থিতিশীল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, তবে ফুসফুসের সংক্রমণ ভাবাচ্ছে ডাক্তারদেরস্থিতিশীল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, তবে ফুসফুসের সংক্রমণ ভাবাচ্ছে ডাক্তারদের

আসল ঘটনাক সূত্রপাত কোথায় ?

সম্প্রতি বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র কয়েকটি স্ক্রিনশট টুইট করে দাবি করেন, সেগুলি অতিমারির সময়ে দেশবাসীর পাশে দাঁড়ানোর কৌশল সংক্রান্ত কংগ্রেসের ‘টুলকিট'-এর অংশ। তাঁর আরও দাবি, অতিমারিতে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের অভিযানকে প্রকৃতপক্ষে কংগ্রেস নিজেদের প্রচারের কাজে ব্যবহার করছে। যদিও কংগ্রেসের দাবি বিজেপি ভুয়ো খবর ছড়িয়ে তাদের দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে। এদিকে এরপর কার্যত কংগ্রেসের দাবি মান্যতা দিয়ে সম্বিত পাত্র সহ একাধিক বিজেপি নেতার টুইটকে ম্যানিপুলেটেড তকমা দিলে টুইটারকে আইনি নোটিশ ধরায় কেন্দ্র ও দিল্লি পুলিশ।

More NARENDRA MODI News  

Read more about:
English summary
US may intervene in the BJP-Delhi police Twitter-toolkit case