শুধুই আতঙ্কের প্রহর গোনা শুরু!
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে কলকাতা সহ সংলগ্ন এলাকাতে ১০০ কিমি বেগে ঝড় বইবে। আরও বেশ কয়েকটি জায়গাতে আরও ভয়ালভাবে আঘাত হানবে এই ঝড়। ইতিমধ্যে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় জারি হয়েছে সতর্কবার্তা। নবান্ন থেকে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের সবরকম প্রস্তুতি সেরে রাখতে বলা হয়েছে। নবান্নে মমতা বন্দ্যপাধ্যায় জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে যে সমস্ত জেলাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে সেখানের জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রবল বৃষ্টিতে বাড়তে পারে জলস্তর।
আশঙ্কা, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিতে বাড়তে পারে জলস্তর। সূত্রের খবর, সেরকম পরিস্থিতি হলে জল ছাড়তে পারে ডিভিসি-ও। সেইকারণে জারি হল বন্যা সতর্কতা। জোয়ারের জন্য মঙ্গলবার সকাল থেকে জল বাড়ছে হুগলি নদীতে। মমতা বলেন, একে পূর্ণিমা এরপর চন্দ্রগ্রহণ। যদিও গ্রহনের কোনও প্রভাব পড়বে না। কিন্তু পূর্ণিমাতে জোয়ারের জল কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গাতে ঢুকতে পারে বলে আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাঁধ ছাপিয়ে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু
ইতিমধ্যেই দিঘার কয়েকটি এলাকায় বাঁধ ছাপিয়ে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে। সমুদ্রে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস চলছে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রামনগর ১ নম্বর ব্লকের জামড়ার শ্যামপুর কাইমা গ্রামে সমুদ্রের বাঁধ উপচে গ্রামের মধ্যে জল ঢুকতে শুরু করেছে। খবর পেয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। রয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরাও। প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, ‘সোমবার রাতেই তাজপুর, জলধা-সহ সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সমুদ্রে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। যার জেরে জামড়া, শ্যামপুর, তাজপুর প্রভৃতি এলাকার সমুদ্র বাঁধের অনেক জায়গায় জল গ্রামে ঢুকছে। শুরু হয়েছে রাস্তা কেটে জল বার করে দেওয়ার কাজ। এলাকার বাসিন্দাদেরও দ্রুত সরানো হয়েছে।''
শংকরপুরেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
দিঘা থেকে ৪২০ কিমি দূরে রয়েছে ইয়াস। বুধবার সকালে আছড়ে পড়তে পারে উপকূল এলাকায়। শঙ্করপুর সহ উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে বৃষ্টি হচ্ছে। দিঘার পাশাপাশি শঙ্করপুরে সমুদ্রসৈকতে বাউন্ডারি ওয়াল টপকে গ্রামে ঢুকছে জলোচ্ছ্বাস। কিন্তু কিছু জায়গায় সমুদ্র তীরবর্তী রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। আর জল ঢুকতে শুরু হতেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় খালি করা হচ্ছে গ্রাম। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১১০টি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমনটাই প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।