ওয়াশিংটন: হোয়াইট হাউসে (White House) পালাবদলের পরে মস্কো-ওয়াশিংটন সম্পর্ক অনেকটাই তলানিতে ঠেকেছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) রসায়ন ভালো থাকলেও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) সঙ্গে সম্পর্ক তেমন বন্ধুত্বপূর্ণ নয়। এমন সম্পর্কের দোলাচলের মধ্যে ১৬ জুন জেনেভাতে (Geneva) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউজ (White House) এমনটাই জনিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সোসাকি জানিয়েছেন, জেনেভায় (Geneva)এই বৈঠক হবে। আমেরিকায় সাইবার হামলা চালানো এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগে বাইডেন প্রশাসন গত কয়েক মাস ধরে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন রুশ কূটনীতিককে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করেছে। রাশিয়া তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আমেরিকার বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। এর ফলে সাম্প্রতিক সময়ে দু’দেশের সম্পর্কে তীব্র টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে। মূলত সেই সম্পর্কের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতেই দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে বৈঠক বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন(Joe Biden) আশাবাদী এই বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নতি হবে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্পর্কের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেবেন।
গত এপ্রিল মাসের গোড়ার দিকে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। এবং তার সঙ্গে তৃতীয় কোনো দেশে সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এখনই পুতিনকে আমেরিকায় আমন্ত্রণ জানাতে বা নিজে মস্কো সফর করতে রাজি নন বলে জানা গিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি হিসাবে প্রথম ইন্টারন্যাশনাল ট্রিপে যাচ্ছে জো বাইডেন।এই সফরে তিনি জি -৭ (G-7), ন্যাটো(NATO) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন(European Union) তথা পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবেন। মুখোমুখি সাক্ষাৎ করবেন রুশ নেতৃত্বের সঙ্গে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনিকে (Alexei Navalny) বিষ প্রয়োগ করে খুনের চেষ্টা প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিন্ডেন্ট বাইডেন, পুতিনকে খুনি বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। বাইডেনের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল মস্কো। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বলেছিলেন এই মন্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, তিনি আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল করতে আগ্রহী নন। আমরাও এ বার তাহলে সেই পথেই হাঁটব।’’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.