সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতেই
ইংল্যান্ডের অনেক কাউন্টি আইপিএল আয়োজনে আগ্রহ দেখালেও গত বছরের সুখকর অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখেই আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতেই করার পরিকল্পনা করছে বিসিসিআই। বেশিরভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজিই তেমনটা চেয়েছিল। ক্রিকেটাররাও। তাছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে আইপিএল খেললে টি ২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতেও খুব একটা অসুবিধা হবে না। কারণ, উইকেটের চরিত্র ও সেপ্টম্বরের শেষের আবহাওয়ার সঙ্গে ভারতের খুব একটা তফাত নেই। আর করোনা পরিস্থিতিতে আইপিএল সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে সরলে তো সোনায় সোহাগা।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
সম্ভাব্য তারিখ
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের পঞ্চম টেস্ট শেষ হচ্ছে ১৪ সেপ্টেম্বর, যদি টেস্টটি পাঁচদিন গড়ায়। বিসিসিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, সেপ্টেম্বরের ১৮ বা ১৯ তারিখ থেকেই শুরু করে দেওয়া হবে। ফাইনাল হতে পারে ৯ বা ১০ অক্টোবর। ১৮ তারিখ শনিবার, ১৯ তারিখ রবিবার। ফলে এই উইকেন্ডেই আইপিএল শুরু করে দেওয়া হতে পারে। ফাইনালও হবে উইকেন্ডেই। ফাইনাল-সহ ৩১টি ম্যাচ বাকি রয়েছে। তিন সপ্তাহের মধ্যেই ১০টি ডাবল হেডার রেখে আইপিএল সেরে ফেলা হবে। চারটি দলে করোনা সংক্রমণের জেরে ৪ মে আইপিএল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিসিসিআই। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি, সম্প্রচারকারী সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে বোর্ডের। একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্তারা জানিয়েছেন, বোর্ড তাঁদের আইপিএলের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলে দিয়েছে।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
১০ ডাবল হেডার
চলতি বছরের আইপিএলের দ্বিতীয়ার্ধে ১০টি ডাবল হেডার রাখার পরিকল্পনা থাকছে। এ ছাড়া সন্ধ্যার ম্যাচ থাকছে সাতটি। দুটি কোয়ালিফায়ার, একটি এলিমিনেটর ও ফাইনাল যথারীতি সন্ধ্যাতেই শুরু হবে। ম্যাঞ্চেস্টারে টেস্ট শেষের পরদিনই হনুমা বিহারী ও অভিমন্যু ঈশ্বরন বাদে ভারতীয় দলের সকলকেই চার্টার্ড বিমানে করে দুবাই নিয়ে যাওয়া হবে। এভাবেই ইংল্যান্ডের টেস্টের জৈব সুরক্ষা বলয় থেকে আইপিএলের জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকে পড়বেন ক্রিকেটাররা। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররাও ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গী হতে পারেন চার্টার্ড বিমানেই। একইভাবে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ টুর্নামেন্ট খেলে দুবাইয়ে পৌঁছে যাবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররাও। দুবাই পৌঁছে থাকতে হবে তিনদিনের নিভৃতবাসে।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
বাতিল আন্তর্জাতিক সিরিজ
টি ২০ বিশ্বকাপের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি ২০ সিরিজ আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল বিসিসিআইয়ের। আইপিএল আয়োজন করতে গিয়ে সেই সিরিজ বাতিল করছে বোর্ড। বিসিসিআই মনে করছে, টি ২০ বিশ্বকাপের জন্য আদর্শ প্রস্তুতি নেওয়ার সেরা ক্ষেত্র আইপিএলই। যেহেতু বিশ্বকাপ শুরুর সাত বা দশদিন আগে অবধি আইপিএল চলবে তাই পরে কোনও সময়ে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ আয়োজন করা হবে। ভারত আগামী বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েও অতিরিক্ত ম্যাচ খেলতে পারে। নভেম্বরে দেশের মাটিতে ভারতের নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটি টেস্ট খেলার কথা। সেই টেস্ট সিরিজও পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে। সব কিছু নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির উপরই। অনেক দেশই টি ২০ বিশ্বকাপ খেলতেও ভারতে আসতে অনীহা দেখাচ্ছে। ফলে টি ২০ বিশ্বকাপও ভারতে হওয়ার সম্ভাবনা কমছে।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)