নয়াদিল্লি: একা করোনায় (Coronavirus) রক্ষে নেই দোসর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (Black Fungus) । করোনাকালে এবার রাজ্য (States) ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে (Uts) ক্রমেই আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশের ১৮টি রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৪২৪ জন। গুজরাতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ১৬৫জন, মহারাষ্ট্রে ১,১৮৮, উত্তর প্রদেশে ৬৬৩, মধ্য প্রদেশে ৫১৯, হরিয়ানাতে ৩৩৯, অন্ধ্র প্রদেশে ২৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে এবার রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে আরও ১৯ হাজার ৪২০ বোতল ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি (amphotericin b) পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Govt) ।
করোনাকালে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে মিউকরমাইকোসিস (mucormycosis) বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারী (Epidemic) হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রতিদিন কেন্দ্রকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এর আগে গত ২১ মে দেশের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ২৩ হাজার ৬৮০ বোতল ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এবার রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে আরও ১৯ হাজার ৪২০ বোতল ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সাধারণত মাটি, গাছ, শাক-সবজি ও ফল থেকে মানবদেহে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে এই মুহূর্তে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হলে তাঁকে অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি ওষুধ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
২০ মে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে পরামর্শ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণের গতি প্রকৃতির দিকে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সর্বক্ষণ কড়া নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নিয়মিত এব্যাপারে প্রয়োজনীয় রিপোর্ট (Report) কেন্দ্রকে পাঠাতে বলা হয়েছে।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রসঙ্গে এইমস-এর প্রধান বলেন, “ যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারাই মিউকরমাইকোসিস , ক্যান্ডিদা (Candida ) এবং এস্পেরগিলাস(Aspergillus) দ্বারা সংক্রমিত হচ্ছে। এই ছত্রাকগুলি সাধারণত নাক, চোখের চারপাশে হাড়ের মধ্যে পাওয়া যায় এমনকি মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে, যা মাঝে মাঝে ফুসফুসে বা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টে পাওয়া যায়।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.