৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের দাবি
প্রসঙ্গক উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুতে আর্থিক ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার দাবি জানানো হয় বলে জানা যায়। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে বর্তমানে সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি চলছে বলে খবর।সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি এমআর শাহ-র বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয় বলে জানা যায়।
জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতেই শুনানি
ক্ষতিপূরণের দাবি তুলে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা করেন আইনজীবী গৌরব কুমার বনসল ও রীপক কানসাল। তাঁদের জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নোটিস পাঠায় শীর্ষ আদালত। ক্ষতিপূরণ প্রদানের ক্ষেত্রে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ২০০৫-এর ধারা ১২ উপরেও বারবার জোর দেন তাঁরা। তাঁদের দাবি বিপর্যয়ের ফলে মৃত কোনও ব্যক্তিকে ন্যূনতম সাহায্য করা ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির মৌলিক কাজ।
কত বরাদ্দ করতে হতে পারে সরকারকে ?
ওই জনস্বার্থ মামলার শুনানিতেই এই বিষয়ে কেন্দ্রকে ১০ দিনের মধ্যে তাদের পর্যবেক্ষণ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে। এদিকে মহামারি আইনের ১২ (তিন) ধারায় আরও বলা রয়েছে, মহামারীর ফলে কোনও ব্যক্তি মারা গেলে তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি। এদিকে এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে যে পরিমাণ মানুষ করোনায় মারা গিয়েছেন তাদের সকলের পরিবারতে ক্ষতিপূরণ দিতে গেলে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করতে বলে মনে করা হচ্ছে।
কোভিডে মৃতের ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে দ্বন্দ্ব
তবে কোভিডে মৃত্যু ও অন্য কারণে মৃত্যুর বিষয়টি যাতে গুলিয়ে না যায় তাই শুধুমাত্র কোভিডে মৃতের ডেথ সার্টিফিকেট লেখার কিছু নির্দিষ্ট নীতি বা গাইডলাইন থাকা উচিত বলেও মত সুপ্রিম কোর্ট। করোনায় মৃত্যু ও কোমর্বিডিটিতে মৃত এই নিয়ে শুরু থেকেই একাধিক রাজ্যে বাড়ছিল চাপৌনতর। এই বিষয়টি যাতে সমস্যা হয় না দাঁড়ায় সুপ্রিম কোর্টের তরফে সেই বিষয়েও সতর্ক করা হয়।