ওয়াশিংটন: গোটা বিশ্বজুড়ে দাপট দেখাচ্ছে মারণ ভাইরাস করোনা (Corona)। এই ভাইরাসের রাশ টানতে টিকাকরণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো কিশোরদের জন্যে তেমন কোনো টিকার অনুমোদন মেলেনি। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে আশার আলো দেখালো আমেরিকান বায়োটেক ফার্ম মর্ডানা (US biotech firm Moderna)। তাদের প্রস্তুত করা ভ্যাকসিনটি(Vaccine) ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের জন্যে কার্যকর বলে দাবি করেছে তারা। সংস্থার মতে ট্রায়ালে প্রমাণিত এই ভ্যাকসিন ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের জন্যে অত্যন্ত কার্যকর। জুনের মধ্যেই অনুমোদন পাবে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।

সংস্থার প্রধান কার্যনির্বাহী আধিকারিক স্টিফেন বেনসেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা এটা জেনে খুব খুশি যে mRNA-1273 ভ্যাকসিনটি কিশোরদের করোনা রুখতে সাহায্য করবে। আমরা জুনের শুরুতে মার্কিন এফডিএ(FDA)-এর কাছে অনুমোদনের জন্য আবেদন করব। সবুজ সংকেত পেলে এটি ফাইজারের পরে মার্কিন কিশোরদের ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত দ্বিতীয় কোভিড ভ্যাকসিন হবে। ফাইজারের ভ্যাকসিনটি এই মাসে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য চালু হয়েছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৩,৭৭২ কিশোর-কিশোরীর নাম এই ট্রায়ালের জন্যে রেজিস্টার্ড করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ কিশোরকে ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ দেওয়া হয়েছিল। বাকিদের নাম মাত্র চিকিৎসা করা হয়েছিল। দুটি ডোজের নেওয়ার পর ভ্যাকসিন নেওয়া গ্রুপে কোভিড -১৯ এর কোনও লক্ষণ ধরা পড়েনি। তবে যাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি তাদের চার জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিল। এর থেকে প্রমাণিত এই ভ্যাকসিন কিশোরদের জন্যে ১০০ শতাংশ কার্যকর।

বড়দের তুলনায় কিশোর-কিশোরীরা কম অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সংস্থা দাবি করেছে প্রথম ডোজ নেওয়ার পরে ভ্যাকসিনটি ৯৩ শতাংশ কার্যকর ছিল। mRNA-1273 নামক ভ্যাকসিনটি প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ঝুঁকিপর্ণ নয়। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুব সামান্য এবং ভ্যাকসিন নেওয়ার পর সামান্য মাথাব্যাথা , অবসাদ, পেশী ব্যথা এবং জ্বর ছিল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এখন টিকার অপ্রতুলতা খবর এসেছে। টিকার অভাবে শ্লথ গতিতে চলছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ কেবলমাত্র প্রথম ডোজ পেয়েছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টিকাকরণের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। তিনি চাইছেন দেশের মোট প্রাপ্তবয়স্কের ৭০ শতাংশ জনগণ যাতে টিকার প্রথম ডোজ পেয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত ৬২ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.