প্রাণহানি রুখতে তৈরি প্রশাসন
বাংলার দিকে ধেয়ে আসছে সাইক্লোন ইয়াস। যা নাকি আম্ফানের থেকে ভয়ঙ্কর হতে চলেছে। গত ১৫ দিন আগেই এই বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনকে সতর্ক করে হাওয়া অফিস। এরপর থেকে যেভাবে সাইক্লোনের শক্তি বেড়েছে সেভাবে সতর্ক করা হয়েছে। তবে আম্ফানের থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার প্রথম থেকে অনেক বেশি সতর্ক ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। যত সম্ভব ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে মানুষকে সুরক্ষিত রাখা যায় সেদিকেই নজর ছিল রাজ্য প্রশাসনের। সেই মতো দফায় দফায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্য প্রশাসন।
উদ্ধারকাজে সবাই মিলে হাত লাগায়
শুধু বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীই নয়, রাজ্যের গোটা শক্তিকে নামিয়ে দেওয়া হয় উদ্ধারকাজে। উপকূল এলাকা থেকে দ্রুত সরানো হয় মানুষজন। বিশেষত দিঘা, শঙ্করপুর সহ একাধিক এলাকা থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সরানো হয় সাধারণ মানুষকে। গোসাবা, ক্যানিং, সন্দেশখালি সহ একাধিক জায়গা থেকেও সরানো হয় মানুষজনকে। এছাড়াও বিভিন্ন দ্বীপ থেকে মানুষকে সরানো হয় ত্রাণ শিবির সহ সাইক্লোন সেন্টারগুলিতে। গত কয়েকদিন ধরে টানা এই কাজ করানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন মোট ২০টি জেলাতে এই ঝড় আছড়ে পড়তে পারে। সেই মতো একাধিক জায়গাতে থেকে সরানো হয় মানুষজনকে।
৯ লক্ষ মানুষকে অন্যত্র সরানো হয়েছে: মমতা
প্রায় ৯ লক্ষ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের নিরাপদ এলাকায় রাখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘আমফানের সময়ও ১০ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম। এবারও ওই ৯ লক্ষ মানুষকে ত্রাণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। যদিও পরের সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, প্রায় ১১ লক্ষ মানুষকে আমরা উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে এসেছি। চিন্তা করার বা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। রাতটা একটু সামলে থাকতে হবে।
ব্লকে ব্লকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম’’
৪ হাজার ত্রাণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগের জন্য ওয়ার রুম তৈরি করা হয়েছে। আগেও এই পরিষেবা ছিল। তবে এবার ব্লক স্তরেও খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এক একজন আইএএস কর্তাদের এই কন্ট্রােলরুমের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বিভিন্ন জেলায় গিয়ে কাজ করছে বলে জানালেন মমতা। জেলাশাসকদের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলছে।