ওয়াশিংটন: একবিংশ শতাব্দীর সবথেকে ভয়াল রোগে (Coronavirus Pandemic) আক্রান্ত গোটাবিশ্ব। অদৃশ্য ব্যাধির বিরুদ্ধে এখনও জারি রয়েছে লড়াই। পৃথিবী ব্যাপি এই সংকটময় পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট(US President Joe Biden) হিসেবে হোয়াইট হাউস দখলের পর জো বিডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আমেরিকা পৌঁছেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (External Affairs Minister S Jaishankar)।

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এই প্রথম ভারতের কোনও শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি সপ্তাহের শেষে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে( Washington DC) গিয়ে জো-বিডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।

জানা গিয়েছে, জো- বিডেন(Joe Biden and S Jaishankar) এবং এস জয়শঙ্করের সঙ্গে এই বৈঠকে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে আলোচনা ছাড়াও কোয়াড(Quad) সংক্রান্ত বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে। তবে এস জয়শঙ্করের এই সফর আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের আগে করোনা পরিস্থিতি, টিকাকরণ(Vaccination) , স্বাস্থ্যপরিষেবা এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে
আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের বৈঠক হওয়ার কথা। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের সঙ্গেও আলোচনা হবে তাঁর।

ভারত প্রতিষেধক উৎপাদন সংক্রান্ত বিষয়ে আমেরিকার বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে ভারত আমেরিকার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা করছে। জয়শঙ্করের আমেরিকা সফরের এ’টি প্রধান উদ্দেশ্য। পাশাপাশি, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরে এই প্রথম গুতেরেসের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক ভারতের কোনও মন্ত্রীর। সবমিলিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী হিসেবে মার্কিন মুলুকে এস জয়শঙ্করের এই বৈঠক বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

উল্লেখ্য, এর আগেও ভারতের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছিলেন যে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।ভারতকে সবরকম সাহায্যের চেষ্টা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এক বিবৃতিতে ব্লিংকেন বলেন, মারণ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ভারতের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি দেখে আমাদের হৃদয় ভারাক্রান্ত। আমাদের সহযোগী দেশ ভারতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে আমরা যোগাযোগ রেখেছি। আমরা খুব দ্রুত ভারত এবং ভারতের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য যথাসম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করছি।

ইউএস চেম্বারস অফ কমার্সসহ বিভিন্ন মহল থেকেই চাপ বাড়ছে বিডেন প্রশাসনের ওপর। ইউএস চেম্বার অফ কমার্সের কার্যনির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইরন ব্রিলিয়ান্ট জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতিতে বিশ্বের কয়েকটি দেশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এই পরিস্থিতিতে ভারত, ব্রাজিলের মতো দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ডোজ এবং অন্যান্য জীবনদায়ী ওষুধ রফতানির ব্যবস্থা করতে প্রশাসনকে অনুরোধ করছে মার্কিন চেম্বার অফ কমার্স।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.