সাগরের মাথায় শক্ত ও মোটা বস্তু দিয়ে আঘাত
ছত্রসল স্টেডিয়ামে সংঘর্ষে নিহত সাগর রানার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মঙ্গলবার পুলিশের হাতে এসে পৌঁছেছে। তাতে জানা গিয়েছে শক্ত এবং মোটা বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করার জন্য সাগরের মাথায় রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছিল। মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই ২৩ বছরের কুস্তিগীরের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
৪ মে খুন হন সাগর
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, হত্যাকাণ্ডে ধৃত সুশীল কুমারের স্ত্রীর নামে থাকা সম্পত্তিতে থাকতেন সাগর রানা। সেই বাড়ির দখল সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই সাগরের সঙ্গে সুশীল ও তার সহযোগীদের অশান্তি শুরু হয় বলে খবর। তার প্রেক্ষিতেই গত ৪ মে ২৩ বছরের সাগরকে তাঁর মডেল টাউনের বাড়ি থেকে ছত্রসল স্টেডিয়ামে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাতেই সাগরের মৃত্যু হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অলিম্পিকে জোড়ে পদকজয়ী সুশীল কুমার ও তাঁর সহযোগী অজয়কে গ্রেফতার করা হলেও বাকিরা এখনও পলাতক।
অন্ধকার জগতের যোগ
২৩ বছরের কুস্তিগীরের খুনের ঘটনার সঙ্গে অন্ধকার জগতের যোগের প্রমাণও পেয়েছে পুলিশ। নীরজ বাভানা নামের দুবাইয়ের এক সমাজবিরোধী জেলের মধ্যে বসে দিল্লিজুড়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। তার কয়েকজনের অনুচরের সঙ্গে সুশীল কুমারের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ৪ মে ছত্রসল স্টেডিয়ামে সাগক রানাকে হত্যার সময় সেই দুষ্কৃতীরা ধৃত কুস্তিগীরের সঙ্গে ছিল বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা ঘটনাস্থল থেকে যে স্করপিও গাড়িটি উদ্ধার করেছে, সেটির মালিক নীরজ বাভানার গ্রামের বাড়ির বাসিন্দা বলেও খবর।
ভেঙে পড়েছেন সুশীল
২৩ বছরের ভারতীয় কুস্তিগীর সাগর রানা হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে পড়েছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। মূল অভিযুক্ত সন্দেহে ধৃত সুশীল কুমারকে চার ঘণ্টা ধরে টানা জেরা করেন তদন্তকারীরা। অলিম্পিয়ান স্বীকার করেন যে তিনি ঘটনার দিন ছত্রসল স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন। সংঘর্ষ সময়ও তিনি সেখানেই ছিলেন। তবে কাউকে খুন করা যে তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না তা পুলিশি জেরায় দাবি করেছেন সুশীল। বরং তিনি দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামানোর মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন বলে কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী কুস্তি তারকা জেরায় জানিয়েছেন বলে খবর। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর সাগর রানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে ধৃত সুশীল কুমার ও তাঁর সহযোগী অজয়কে নিয়ে ছত্রসল স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের সদস্যরা। গোটা প্রক্রিয়া চলার সময় সুশীল কুমার কার্যত ভেঙে পড়েন বলে জানানো হয়েছে।