স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Cyclone Yaas) নিয়ে মমতার সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর (Jagdeep Dhankar)৷ সেইসঙ্গে টুইটে জানালেন, নবান্নের কন্ট্রোল রুমে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন তিনি৷
মঙ্গলবার বিকেল ৪টেয় আলিপুর আবহাওয়া দফতরে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেখানকার অধিকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় রাজ্যের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে রাজ্যপাল বলেন, ”আমফানের মতো পরিস্থিতি তৈরি হোক কেউ আমরা চাই না। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কেন্দ্র-রাজ্য একসঙ্গে যেভাবে কাজ করছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। সব কাজেই এভাবে সমন্বয় রাখা প্রয়োজন।”
জানা গিয়েছে, মোকাবিলায় নবান্নের কন্ট্রোল রুমে ঠিক কী ভাবে কাজ হচ্ছে, তা দেখতেই সেখানে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সেখানে বৈঠক করবেন তিনি। রাজ্যপাল জানান, ইতিমধ্যেই তিনি নৌ সেনা, ইস্টার্ন কম্যান্ড, সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: সাইক্লোনের আবহে ভ্যাকসিন পরিষেবা রক্ষা করতে উদ্যোগী হাবড়ার হাসপাতাল
তাঁর সঙ্গে মুখ্যসচিব এবং মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য সরকার পুরোদমে সক্রিয়তা দেখাচ্ছে। মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তাই নিয়ে আমি মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন আধুনিকতার জেরে পূর্বাভাস বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একেবারে সঠিক হয়। আমি সব খবর নিয়ে আপনাদের পরবর্তী পদক্ষেপ জানাব।”
এদিন বিকেলে হাওয়া অফিসে পৌঁছে যান জগদীপ ধনকড়। দীর্ঘক্ষণ হাওয়া অফিসের পূর্বাঞ্চলের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে ছিলেন তিনি। ধনকড় জানান, তিনি প্রতিমূহূর্তে ইয়াস-পরিস্থিতির খোঁজ খবর নিচ্ছেন। সেখানেই রাজ্যের ‘ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস’-এর প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। রাজ্যপাল বলেন, ‘‘কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস চিন্তা বাড়াচ্ছে। তার উপর রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার সমস্যা তো রয়েছেই।’’
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বাংলায় ইয়াসের দাপট সবচেয়ে বেশি পড়বে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। আছড়ে পড়ার সময় পূর্ব মেদিনীপুরে ঝড়ের বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৪৫ কিমি। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঝড়ের বেগ হবে ঘণ্টায় ৯০-১০০ কিমি। কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে ঝড়ের বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৭০-৮০ কিমি। তবে, আমফানের মতো প্রভাব এই রাজ্যে পড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.