করোনা ভাইরাস–ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের মাঝেই বাংলায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের চোখ রাঙানি। রাজ্য সরকার সাধ্যমতো প্রস্তুতি সেরেছেন যাতে গত বছরের আম্ফানের মতো পরিস্থিতি সৃ্ষ্টি না হয়। রাজ্য সরকারের সঙ্গে নিজের এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা তথা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর কেন্দ্রের বিধয়াক সোহমকে দেখা গেল এলাকা পরিদর্শন করতে, গ্রামবাসীদের সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া ও ঝড়ের তান্ডব সামলাতে আগাম ব্যবস্থা নিতে দেখা গেল তাঁকে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের দাপট কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী স্থানে সেভাবে প্রভাব না ফেললেও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। তবে দীঘা ও বালাসোরের মাঝে ল্যান্ডফল হওয়ায় ঝড়ের তাণ্ডব চলবে পূর্ব মেদিনীপুরে। তাই নিজের বিধানসভা এলাকার মানুষকে সুরক্ষিত করতে জোরকদমে মাঠে নেমেই কাজ করছেন সদ্য জয়ী হওয়া তৃণমূলের বিধায়ক। এলাকাবাসীদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং খোলা হয়েছে দু’টি কন্ট্রোলরুমও।এর আগেও বিধানসভা এলাকার ভগবানপুর, চণ্ডীপুর ব্লক পরিদর্শন করেন তিনি। প্রশাসনিক কর্মকর্তা, পুলিশ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ করে চলেছেন সোহম। এই দুর্দিনে আতঙ্কিত না হয়ে বরং সকলকে একযোগে দুর্যোগ মোকাবিলার বার্তা দিয়েছেন সোহম। ইতিমধ্যেই তিনি ভগবানপুরে কোভিড সেফ হোম খুলে ফেলেছেন।
সমুদ্রের বাঁধ উপচে দিঘার একাধিক গ্রামে জল ঢুকতে শুরু! ভেঙে চুরমার শঙ্করপুরের রাস্তা
এটাই অবশ্য প্রথম নয়, করোনায় একটানা রাজ্যবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছেন এই অভিনেতা–বিধায়ক। বরানগর অঞ্চল থেকে শুরু করে দমদম শ্যামবাজার, কাশীপুর, বেলগাছিয়া-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় এর আগে সোহমের সহযোগিতায় 'হাসিখুশি’ ক্লাবের উদ্যোগে শুরু হয়েছে স্যানিটাইজেশন। পাশাপাশি কোভিড রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করা, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা, অক্সিজেন যোগার করে দেওয়ার মতো কাজও করা হচ্ছে এই ক্লাবের পক্ষ থেকে।