ভিওয়ান্দি: বৈচিত্র্যময় জগতে কত না রঙ্গ দেখা যায়। ঘর থেকে বাইরে বেরোলে প্রতিদিনই নানাভাবে নানারকম ঘটনার সাক্ষী থাকি আমরা। কোনও ঘটনা ক্ষনস্থায়ী আবার কোনওটা মনে দাগ কেটে যায়। আর এই মজার পৃথিবীতে সবমিলিয়ে এমন ঘটনা আখছাড়ই ঘটে।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সম্প্রতি একটি ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। যা দেখে তাজ্জব বনে গিয়েছেন নেট নাগরিক। যদিও পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে প্রকাশ্যে আসে আসল ঘটনাটি।
ভাইরাল ওই ভিডিওটির সূত্রপাত একটি মঙ্গলসূত্র (gold mangalsutra) নিয়ে। বিয়ের পরে কম বেশি সব মহিলারাই মঙ্গলসূত্র পরেন। এতদূর পড়ে আপনার হয়ত মনে হতে পারে এটা আবার নতুন কী ঘটনা। আজ্ঞে ব্যাপারটা একটু আলাদা।
নিজেদের বিবাহবার্ষিকীতে(Marriage Anniversary) স্ত্রীর শখ মেটাতে তাঁকে উপহার দিয়েছেন হাঁটু পর্যন্ত লম্বা একটি মঙ্গলসূত্র। যা কিনা পুরো সোনায় মোড়া। আর ওই দম্পতির বিবাহবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নিরাপত্তার খাতিরে ওই দম্পতির খোঁজ শুরু করেন পুলিশ।
জানা গিয়েছে মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্দির(Bhiwandi) বাসিন্দা বালাকলি(Bala Coli) নামের ওই দম্পতি নিজেদের বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করার সময় তাঁর স্ত্রী ওই মঙ্গলসূত্রটি পড়েছিলেন। যদিও তাতে একফোঁটাও সোনা নেই বলে পুলিশের কাছে জানিয়েছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, এইরকম সোনার জিনিস পরে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করলে সমস্যায় পড়তে পারেন ওই দম্পতি। এতে চোর ডাকাতের উপদ্রব বাড়তে পারে। সেই কারণে নিরাপত্তার খাতিরে পুলিশ ওই দম্পতির বাড়ি গিয়ে আসল রহস্যের উদঘাটন করেন।
এর আগেও করোনা ঠেকাতে সোনাপ্রেমী এক ভদ্রলোক বানিয়ে ফেলেছিলেন সোনার মাস্ক। যার দাম তিন লক্ষ টাকা। মহারাষ্ট্রের পুনে জেলার পিম্পরি চিনচওয়াড় এলাকার বাসিন্দা শঙ্কর কুরাদে নিজের জন্য একটি সোনার মাস্ক তৈরি করেন। দিব্যি সেটি পরেই ঘুরে বেড়ান তিনি।
কুরদে জানিয়েছিলেন ২.৮৯ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে তাঁর এই মাস্ক বানাতে। খুব পাতলা পাতলা সোনার পাত দিয়ে স্তর বানানো হয়েছে মাস্কে। পরতে কোনও অসুবিধাই হয় না। রয়েছে শ্বাস নেওয়ার জন্য সূক্ষ্ম ছিদ্র। তবে নিজেই জানিয়েছিলেন এই মাস্ক আদৌও কার্যকরী কিনা তা জানেন না তিনি।
সোনার প্রতি এত প্রেম যে সব সময় তার গলায় মোটা মোটা সোনার চেন দেখা যায়। শুধু তিনিই নন, তাঁর বাড়ির প্রত্যেকেই সোনা পরতে ভালবাসেন, তা সে যা দামই হোক না কেন। কুরদের দাবি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ব্যক্তিকে রুপোর তৈরি মাস্ক পরতে দেখে সোনা দিয়ে সেটি তৈরি করার পরিকল্পনা করেন তিনি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.