আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস
সোমবার সকালে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২৬ মে দুপুরে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। যদিও রবিবার বিকেল পর্যন্ত বলা হয়েছিল তা আছড়ে পড়তে পারে বুধবার বিকেলে। এখনও পর্যন্ত আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৬ মে ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মধ্যে কোনও এক জায়গায় ল্যান্ডফল হবে ঘূর্ণিঝড়ের। তবে এখনও নির্দিষ্ট স্থানের কথা উল্লেখ করতে পারেনি আবহাওয়া দফতর। ঝড়ের বেগ ঘন্টায় ১৮৫ কিমি হতে পারে বলেও পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
ক্ষতির নিরিখে বাকি ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে তুলনীয়
আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের যা বেগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তা যথেষ্টই ক্ষতি করতে পারে। তা সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিম উপকূলে তাউকটে এবং গতবারের আম্ফানের মতোই ক্ষতি করতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দপতরের ডিজিএম মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র।
তাউকটের প্রভাবে ৫ রাজ্যে ব্যাপক ক্ষতি
এক সপ্তাহ আগে দেশের পশ্চিম উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় তাউকটে। যার জেরে এখনও পর্যন্ত ১০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এবং পাঁচ রাজ্য গুজরাত, গোয়া, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক এবং কেরলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও এই ঘূর্ণিঝড়ের সময় আরব সাগরে একটি বার্জ ডুবে যাওয়ায় ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ইয়াসের জন্য প্রস্তুতি
উপগ্রহ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এদিন সকাল সাড়ে পাঁচটার সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান ছিল, আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৬০০ কিমি উত্তর-উত্তর পশ্চিম, ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৫৪০ কিমি দক্ষিণ দক্ষিণ পূর্ব, বালাসোর থেকে ৬৫০ কিমি দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব এবং পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে ৬৩০ কিমি দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্বে।
২৩ মে প্রধানমন্ত্রীর পরে ২৪ মে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থলবাহিনীর পাশাপাশি বিমানবাহিনী, নৌবাহিনীকেও তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। বিমানবাহিনী জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং পোর্টব্লেয়ারে পৌঁছে দিয়েছে।