তবে কি সিপিএম আর চাইছে না জোট করে লড়তে
আলিমুদ্দিনের অন্দরই দাবি উঠেছে, মীনাক্ষীকে ভবানীপুরে মমতার প্রার্থী করার। রাজ্যের মানুষের কাছে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠা মীনাক্ষীকে প্রার্থী করে লড়াই জারি রাখতে চাইছে সিপিএম। কিন্তু এই পরিকল্পনা সফল করতে গেলে কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের জোটে ধাক্কা লাগতে বাধ্য। এক্ষেত্রেই প্রশ্ন উঠে পড়েছে, তবে কি সিপিএম আর চাইছে না জোট করে লড়তে।
জোট ব্যর্থ, এবার কি একলা চলার পরিকল্পনা?
একুশের নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের পাশাপাশি আইএসএফের সঙ্গে জোট করেছিল সিপিএম। কিন্তু ভোট শেষে দেখা গিয়েছে, তারা চূড়ান্ত ব্যর্থ। বাম বা কংগ্রেস স্বাধীনতার পর এই প্রথমবার বিধানসভা থেকে শূন্য হয়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, এবার জোট বাম-কংগ্রেসের সমূহ ক্ষতি করেছে। তাই এবার কি একলা চলার পরিকল্পনা?
কংগ্রেসকে জোট ভাঙার বার্তাই দিতে চাইছে সিপিএম!
সেইমতোই সিপিএমের এই একতরফাভাবে ভবানীপুর কেন্দ্রের পরিকল্পনা করার অর্থ জোটের ধাক্কা খাওয়া। কেননা জোটের সমীকরণ অনুযায়ী ভবানীপুর কংগ্রেসের আসন। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের পরিবর্তে যদি সিপিএম একতরফাভাবে প্রার্থী দেয়, তবে তা জোট ভাঙারই সামিল। আর এই কাজের মাধ্যমে কংগ্রেসকে সেই বার্তাই দিতে চাইছে সিপিএম, এমনটাও মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এবার জোট নয় এককভাবে প্রার্থী করার পরিকল্পনা
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সিপিএম এবার সত্যিই শূন্য থেকে শুরু করতে চাইছে। তাই এককভাবে লড়ে নিজেরা এখন কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছে, তা বুঝে নেওয়ার সময় বলে মনে করছে একাংশ নেতৃত্ব। সেই আঙ্গিকেই সিপিএমের তরফ থেকে ভাবনী-চিন্তা করা হচ্ছে মীনাক্ষীকে প্রার্থী করার। এবার জোট নয় এককভাবে প্রার্থী করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
জনমানসে না বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় সিপিএমের সিদ্ধান্তে
কিন্তু মীনাক্ষীকে প্রার্থী করা নিয়ে একাংশ আবার ভিন্নমত পোষণ করেছেন। তাঁদের দাবি পার্টি ভাবছে মীনাক্ষীকে মুখ করে পার্টির হাল ফেরানোর। এভাবে বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো জনপ্রিয় হেভিওয়েটের মুখে ফেলে দিলে পার্টির পরিকল্পনা মাঠে মারা যাবে। জনমানসে তাঁকে নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে। সিপিএমের এই অংশ চাইছে ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা জেলার কোনও পরিচিত মুখকে প্রার্থী করা হোক। সেটা অনেক বেশি সঠিক পদক্ষেপ হবে।