কলকাতা : “ইয়াস” সিভিয়ার সাইক্লোন (Yaas Severe Cyclone) ক্রমেই শক্তি আরও বাড়িয়ে বাংলার দিকে এগোচ্ছে। মৌসম ভবনের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার দুপুর ১২টায় দিঘা থেকে ৬২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়। ইয়াস-এর প্রভাবে সোমবার বিকেল থেকেই রাজ্যের উপকূল এলাকায় ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বইবে বলে জানা গিয়েছে। ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় গতি নিয়ে “ইয়াস” সাগরদ্বীপ (Sagardeep) ও পারাদ্বীপের (Paradeep) মধ্যে আছড়ে পড়বে। এই ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
এনডিআরএফ (NDRF) কমান্ডান্ট গুরমিন্দর সিং জানিয়েছেন, সাইক্লোন আমফানের (Super Cyclone Amphan) চাইতেও ইয়াস-এর মোকাবিলায় আমরা বেশি প্রস্তুত রয়েছি। আমরা বিরাট সংখ্যায় এনডিআরএফ , এসডিআরএফ এবং সেনা বাহিনী ইতিমধ্যেই নামিয়েছি। দক্ষিণ বঙ্গে ৩৩টি এনডিআরএফ টিম ও উত্তরবঙ্গে ৩৫টি এনডিআরএফ টিম নামানো হয়েছে। মোট ৯৯টি এনডিআরএফ টিম বিপর্যয় মোকাবিলার কাজ করার জন্য ওডিশা, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্র প্রদেশ, তামিল নাড়ু এবং আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে কাজে লাগানো হয়েছে।
গত ৬ ঘণ্টা ধরে ঘণ্টায় ২ কিলোমিটার গতিবেগে এগোচ্ছে “ইয়াস”। ঘূর্ণিঝড় যত স্থলভাগের দিকে এগোবে তত তার গতিবেগ বাড়বে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় এই মুহূর্তে ১৬ ডিগ্রি ৪ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৯ ডিগ্রি ৬ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থান করছে। এই মুহূর্তে আন্দামানের পোর্ট প্লেয়ার থেকে ৬২০ কিলোমিটার উত্তরে উত্তর-পশ্চিম, ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব, ওড়িশার বালেশ্বর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে ইয়াস। এমনটাই জানিয়েছে লালপুর আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো মঙ্গলবার রাতের মধ্যে ইয়াস শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে । বুধবার সকালের মধ্যে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রূপে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার স্থলভাগের কাছে পৌঁছনোর কথা ইয়াস-এর। তার পর বুধবার সন্ধ্যায় অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রূপে ইয়াস ওড়িশার পারাদ্বীপ ও পশ্চিমবঙ্গের সাগরের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করবে বলেই পূর্বাভাস দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.