ওয়াশিংটন : মহামারীর মধ্যে মার্কিন মুলুকে(US) অব্যাহত শুট(Shooting) আউটের ঘটনা। ফের আমেরিকায় পৃথক পৃথক জায়গায় বন্দুকবাজের হামলায় প্রাণ হারালেন ১২ জন। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন অন্তত ৪৯ জন। গত বছর থেকে এই পর্যন্ত বারবার বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় মর্মান্তিক এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রশাসন(Us Administration) ।

এর আগেও গত মাসে আমেরিকায় এই ধরণের সহিংসতার ঘটনাকে ‘মহামারী’ (Epidemic)বলে উল্লেখ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। তারপরও থামেনি নৃশংস এই তাণ্ডবের ঘটনা। প্রতিনিয়ত যার শিকার হচ্ছেন মার্কিন মুলুকের নিরীহ সাধারণ মানুষেরা। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে নিউ জার্সির কেমডেনে একটি ঘরোয়া পার্টিতে বন্দুকধারীর গুলিতে দু’জন মারা গিয়েছেন এবং কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এছাড়াও দক্ষিণ ক্যারোলাইনে, একটি কনসার্টে অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে বন্দুকবাজের হামলায় ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী নিহত হয় এবং ঘটনায় ১৪ জন আহত হন। জর্জিয়ার আটলান্টায় পুলিশ রবিবার ভোরে তিনজন গুলিবিদ্ধদের দেহ উদ্ধার করেছেন। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ঘটনাস্থলেই তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছেন, রবিবার ভোরে ওহিওর ইয়াংস্টাউনে একটি বারের বাইরে আরও তিনজন নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন।এছাড়াও কলম্বাসের একটি পার্কে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী নিহত ও সাতজন আহত হয়েছে।

এদিকে বারবার এই ধরনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসা নিয়ে মিনিয়াপলিস পুলিশ সংবাদ সংস্থা এএফপিকে(AFP) জানিয়েছে যে, এই গুলি চালানোর ঘটনায় একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, এবং দ্বিতীয় সন্দেহভাজন মারা গিয়েছে। আমেরিকাতে কয়েক মাস ধরে অনেকেই এই বন্দুকবাজদের হামলার শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ায় ইন্ডিয়ানাপলিসের ফেডএক্স ফ্যাসিলিটি, কলোরাডোর বোল্ডারের একটি মুদি দোকান – পাশাপাশি কয়েক সপ্তাহ ধরে একই শহরে একটি জন্মদিনের পার্টি পরে – এবং আটলান্টায় বিভিন্ন স্পা সেন্টারে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

যদিও বিশ্বব্যাপী এই মহামারী (COVID-19 pandemic) পরিস্থিতির মধ্যে আমেরিকাতে গত বছর থেকে শুটিংয়ের ঘটনা কয়েক গুণ বেড়েছে তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বিডেন। সহিংস এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বন্দুক তৈরি এবং বিক্রির উপর নিয়ন্ত্রণ জারি করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। চলতি বছরের এই পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোট ২০০ টি বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা ঘটেছে ( mass shootings)।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.