নয়াদিল্লি : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে(Second wave of Coronavirus) কাবু গোটা দেশ। এই অবস্থায় সংক্রমণের রেশ আটকাতে জারি হয়েছে দফায় দফায় লকডাউন। চলছে ভ্যাকসিনেশনের কাজ।

আর এই অবস্থায় শিশু ও কিশোরদের জন্য আশার কথা শোনালেন ভারত বায়োটেকের বিজনেস ডেভলপমেন্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভোকেসির প্রধান ডঃ র‍্যাচেস এল্লা (Raches Ella) জানিয়েছেন যে, তাঁদের সংস্থা আগামী জুন থেকেই কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন কোভ্যাকসিনের পেডিয়াট্রিক ট্রায়াল শুরু করতে পারে।
যদিও এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি।

এই বিষয়ে রবিবার এফআইসিসিআই(FICCI) লেডিজ অর্গানাইজেশন ( FLO) আয়োজিত ‘অল অলট ভ্যাকসিনস’ সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে এল্লা বলেন, ” ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন ‘কোভ্যাক্সিনের’ ট্রায়ালের জন্য তৃতীয় বা চতুর্থ কোয়ার্টারের শেষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) অনুমোদন পেতে পারে।”

শুধু তাই নয়, তিনি আরও আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন যে, ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিনের উৎপাদন বছর শেষে আরও বাড়বে। এই বছরের শেষের দিকে কোভ্যাকসিনের উৎপাদন প্রক্রিয়া বাড়ানো হবে এবং প্রায় ৭০০ মিলিয়ন টিকার ডোজ সরবরাহের কথাও জানিয়েছেন। এরজন্য তিনি তাঁদের সংস্থাকে ১,৫০০ কোটি টাকা দিয়ে সাহায্য করার জন্য এবং পাশে থাকার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (DCGI) গত ১৩ মে কোভাক্সিনের দ্বিতীয় ধাপ এবং তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহার করার অনুমোদন দিয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর টিকা আবিষ্কারের জন্য আইসিএমআর-এর(ICMR) সহযোগিতায় দেশীয় সংস্থা ভারত বায়োটেক ‘কোভ্যাকসিনের’ উৎপাদন শুরু করে।

গত ২০ মে ভারত বায়োটেক ঘোষণা করেছিল যে, এটি ভারত বায়োটেকের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহায়ক সংস্থা গুজরাটের অঙ্কলেশ্বরের চিরন বেহরিংতে তারা কোভিড ভ্যাকসিন উৎপাদনের ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে।

অন্যদিকে, মহামারী রুখতে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (DCGI) সিরাম ইন্সটিটিউ এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড'( Covishield) ও ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন(Covaxin) ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.