কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন
ভোটের আগেই কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লির সীমানায় অবস্থানরতন সংযুক্ত মোর্চার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। টেলিফোনে নেতাদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে বাংলায় প্রতিবাদ মিছিল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তার প্রতিদানে ভোটের নির্বাচনে মমতার হয়ে একাধিক জায়গায় সভা করেছিলেন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার প্রতিনিধিরা।
মমতার জয়
বাংলায় বিজেপির খারাপ ফলে নতুন করে অক্সিজেন পেয়েছে বিরোধীরা। তারপরেই নতুন উদ্যোমে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছে তারা। কোভিড পরিস্থিতি থেকে কৃষক আন্দোলন সব ইস্যুতেই সরব হতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। মমতার জয়ের পরের দিনই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখে ভ্যাকসিনের চাহিদা মেটানোর দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। এবার কৃষক আন্দোলনকেও এক যোগে সমর্থন জানালে তৃণমূল কংগ্রেস সহ ১০ রাজনৈতিক দল। তারমধ্যে শিবসেনা, কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা,আরজেডি এবং বামেরাও রয়েছে।
মোদীকে চিঠি
গত ১২ মে বিরোধী দলগুলি একজোট হয়ে কৃষকদের দাবিদাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন। তাতে তাঁরা লিখেছিলেন কৃষক আন্দোলনরত লক্ষ লক্ষ কৃষকরা করোনার বলি হচ্ছেন। তাই অবিলম্বে যাতে এই আন্দোলন শেষ হয় তার জন্য সরকারের উচিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া। কিন্তি সেই চিঠির পরেও কোনও কাজ হয়নি। কৃষি আইন নিয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে মোদী সরকার।
মামলা পিছনোর আবেদন সিবিআইয়ের, যা ইচ্ছা করছে বলে অভিযোগ অভিযুক্তদের আইনজীবী
৬ মাস ধরে আন্দোলন
দিল্লির সীমান্তে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ করে চলেছেন কৃষকরা। দিল্লির সাঙ্গু সীমানায় তাঁদের এই অবস্থান বিক্ষোভ আগামী ২৬ মে ৬ মাস পূর্ণ করবে। এর মধ্যে বেশ কয়েক দফায় কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে সরকার পক্ষ। ১১ দফায় বৈঠক হয়েছে কিন্তু সমাধান সূত্র মেলেনি। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় রয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যে ২৬ জানুয়ারি দিল্লির বুকে লালকেল্লা চলো অভিযান করেছে কৃষকরা।