ভ্যাকসিন উৎপাদনে ভারত যথেষ্ট সক্ষম, তাও টিকাকরণের হার ক্রমশঃ কমছে দেশে

‌ভারতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ঘাটতির প্রভাব পড়ছে সরাসরি টিকাকরণের ওপর। যে কারণে রবিবার ১০.‌৫ লক্ষেরও কম ভ্যাকসিন ডোজ ব্যবহার হয়েছে এই দেশে। যদিও রবিবারে টিকাকরণের হার হ্রাস পাওয়া কোনও নতুন ব্যাপার নয়। তবে ভ্যাকসিনের প্রভাব তখনই দেখা দিয়েছে যখন মানুষের চাহিদা বেড়েছে এবং সরকারের ওপর তীব্র চাপ দেখা দিয়েছে।

করোনা আক্রান্তদের ফাঙ্গাল-ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণ বাড়ছে গোটা দেশেই, ভয় ধরানো সমীক্ষা কেন্দ্রেরকরোনা আক্রান্তদের ফাঙ্গাল-ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণ বাড়ছে গোটা দেশেই, ভয় ধরানো সমীক্ষা কেন্দ্রের

Covid 19 Update : দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ১২৪৮ জন
 ভ্যাকসিনের অভাবে স্থগিত টিকাকরণ

ভ্যাকসিনের অভাবে স্থগিত টিকাকরণ

ভ্যাকসিনের ঘাটতির অভাবে দিল্লিতে স্থগিত রয়েছে ১৮-৪৪ বছরের টিকাকরণ। টিকাকরণের আশা নিয়ে আসা মানুষের অতিরিক্ত ভিড়ে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি রীতিমতো অসহায় হয়ে পড়েছে। একাধিক রাজ্য থেকে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে গ্লোবাল টেন্ডারের আহ্বানে এখনও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। কিছু কিছু ভ্যাকসিন উৎপাদক ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে যে তাদের সঙ্গে একমাত্র কেন্দ্রের চুক্তি রয়েছে। একদিকে যখন দেশে ভ্যাকসিনের ঘাটতি অন্যদিকে বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আমেরিকা থেকে ভারতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহ করছেন।

ভ্যাকসিন উৎপাদনের ক্ষমতা

অদ্ভুত বিষয় হল ভারতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন যতটা হচ্ছে তার চেয়ে অনেক কম টিকাকরণের হার। চাহিদা বিশাল, উৎপাদন ও সরবরাহের ক্ষমতা ঘোষণার পরও কিন্তু টিকাকরণের গতি খুবই ধীরগতিতে চলছে। এ মাসের গোড়ার দিকে সুপ্রিম কোর্ট সরকারের থেকে কোভিড-১৯ টিকাকরণ নিয়ে জবাব চেয়েছিল, যেখানে কেন্দ্র এক হলফনামার মাধ্যমে জানিয়েছে যে ভারতে মাসে ৮.‌৫ কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদন হবে। কেন্দ্রের হলফনামা অনুযায়ী, সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া, যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার ওকভিড-১৯ ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড, একমাসে ৬.‌৫ কোটি উৎপাদন করেছে। ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন এই মাসে উৎপাদন হয়েছে ২ কোটি।

ভ্যাকসিন উৎপাদন

এই দুটি ফার্ম আলাদা আলাদাভাবে জানিয়েছে যে তাদের ভ্যাকসিন ডোজের উৎপাদন একই জোনে রয়েছে। এসআইআই জানিয়েছে যে তারা একমাসে ৬-৭ কোটি ডোজ উৎপাদন করবে। অন্যদিকে, ভারত বায়েটেক এপ্রিলে ২ কোটি ভ্যাকসিন তৈরি করলেও তা মে মাসে বেড়ে দাঁড়ায় ৩ কোটিতে। এর অর্থ হল দুটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ভারতে বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা এক মাসে ৮.‌৫ কোটি ডোজ এর চেয়ে কম নয়।

ভ্যাকসিন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা

বর্তমানে ভারত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যার জন্য একাধিক দেশ অভিযোগ জানিয়েছে যে তাদের টিকাকরণ কর্মসূচি এর জন্য ব্যহত হয়েছে। ১ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত ভারতে ৪.‌১ কোটি ডোজ ব্যবহৃত হয়েছে। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে ১৫,৪৯,৮৯,৬৩৫ টি ডোজ ব্যবহার হয়। ২৩ মে পর্যন্ত মোট ১৯,৬০,৫১,৯৬২টি ডোজ ব্যবহৃত হয়েছে। এটি মে মাসে দৈনিক গড়ে ১৭.‌৮৫ লক্ষ ডোজ ব্যবহৃত হয়েছে। এই হারে, ভারত ৩১ মে এর মধ্যে আরও ১.৪২ কোটি ডোজ পরিচালনা করতে পারে।

মে মাসে মোট টিকাকরণ

মে মাসের জন্য মোট টিকা ৫.‌৫ কোটির চেয়ে সামান্য বেশি হবে, যা উৎপাদনের ঘোষিত ক্ষমতার তুলনায় অনেক কম। ব্যবধানটি প্রায় ৩ কোটি ডোজের।

More CORONAVIRUS News  

Read more about:
English summary
India is quite capable of producing vaccines but the vaccination rate in the country is also declining