মোহালি: গত বুধবার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। আর সোমবার শারীরীক দুর্বলতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হলেন কিংবদন্তি মিলখা সিং(Milkha Singh)। মোহালির(Mohali) ফর্টিস হাসপাতালের আইসিইউ(ICU) বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে ‘ফ্লাইং শিখ’কে। যদিও ছেলে জীব মিলখা সিং(Jeev Milkha Singh) জানিয়েছেন, আগাম সতর্কতা অবলম্বন করেই বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
গত বুধবার করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে চন্ডীগড়ে হোম আইসোলেশনে(Home Isolation) ছিলেন এশিয়ান গেমসের ৪০০ মিটারে সোনাজয়ী দেশের একমাত্র স্প্রিন্টার। বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে শনিবারই দুবাই থেকে দেশে ফিরেছেন মিলখা পুত্র তথা পেশাদার গলফার জীব মিলখা সিং। জীব সোমবার সংবাদসংস্থা পিটিআই(PTI)-কে জানিয়েছেন, ‘গতকাল থেকেই একটু দুর্বলতা অনুভব করছেন উনি। খাওয়া-দাওয়াও করছেন না। সেই কারণেই আমরা আজ ওনাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। যদিও তাঁর বিভিন্ন প্যারামিটার এখন স্বাভাবিক রয়েছে। আমাদের মনে হয়েছিল ওনাকে এই মুহূর্তে অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা উচিৎ।’
জীব আরও বলেন, ‘বাবা ভালো চিকিৎসকদের অধীনে রয়েছেন। তাছাড়া ওনার মনের জোর সাঙ্ঘাতিক। আশা করি শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবেন।’ হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে মিলখা কোভিড নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত, তবে স্থিতিশীল রয়েছেন। উল্লেখ্য, চন্ডীগড়ে মিলখার বাসভবনের দুই পরিচারিকা মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সস্ত্রীক কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছিল মিলখা সিং-য়ের। সেখানেই গত বুধবার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। যদিও সুস্থ রয়েছেন স্ত্রী নির্মল কর। বিগত কয়েকদিন হোম আইসোলেশনে থাকা কিংবদন্তির জন্য একজন পর্যবেক্ষক এবং অক্সিজেন পরিষেবার ব্যবস্থা করেছিল চন্ডীগড়ের PGIMER।
১৯৫৮ এবং ১৯৬২ এশিয়ান গেমসে (Asian Games) সোনাজয়ী মিলখা সিং কোভিডে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, ‘বুধবার বিকেলে জগিং থেকে ফেরার পরে হঠাৎ জানতে পারলাম আমি কোভিড পজিটিভ। কোভিডের কোনও লক্ষণই ছিল না। আমি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছি, চিন্তার কোনও কারণ নেই।’ একইসঙ্গে সকলকে শীঘ্রই ভ্যাকসিন নিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করে মিলখা জানিয়েছিলেন, সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরে তিনিও ভ্যাকসিন নিয়ে নেবেন। ‘ফ্লাইং শিখ’ মিলখার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.