ল্যান্ডফল বালাসোরের কাছে
ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার পর থেকে আবহাওয়া দফতরের তরফে বারবার বলা হয়েছে, তা আঘাত হানতে পারে পারাদ্বীপ থেকে সাগরের মধ্যে কোনও এক জায়গায়। এদিন বিকেলে করা সাংবাদিক সম্মেলনে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ল্যান্ডফল হতে চলেছে বালাসোরের কাছে কোনও এক জায়গায়। ভৌগলিক অবস্থান গত কারণে বালাসোরের যত না কাছে পারাদ্বীপ, ততটাই কাথে পশ্চিমবঙ্গের দিঘা।
ল্যান্ডফলের পরে অভিমুখ বদল
এদিন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস অভিমুখ বদল করে ঝাড়খণ্ডের দিক চলে যাবে। ফলে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গে যেসব জেলায় প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল, তা হবে না। ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় প্রবল বৃষ্টিপাত হবে।
যেসব জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা
আবহাওয়া দফতরের তরফে এর আগে পূর্বাভাস হিসেবে বলা হয়েছিল ল্যান্ডফলের পরে তা পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে আঘাত হানতে পারে। এদিন আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে ল্যান্ডফলের পরে পশ্চিমবঙ্গের যেসব জেলাগুলি সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর। এছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রভাব পড়বে। তবে এদিন জানানো হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ওড়িশার জগৎসিনপুর. কেন্দ্রপাড়া, বালাসোর এবং ভদ্রক জেলা।
বাঁচল কলকাতা, সাগরও
ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুথ বদলে এবারকার মতো বাঁচল কলকাতা। এমন কী সাগরও। সাগরদ্বীপের কাছাকাছিও যদি ঘূর্ণিঝডজ় আছড়ে পড়ত তাহলে যে ক্ষতি হত, বালাসোরে তা আছড়ে পড়ায় স্বাভাবিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কম হবে। তবে বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে।