ইয়াসের ল্যান্ডফল
এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে আগামী ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ওড়িশার পারাদ্বীপ ও পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপের ওপর আছড়ে পড়তে পারে। তবে আবহবিদদের সাম্প্রতিক অনুমান, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ইয়াস প্রবল বেগে আছড়ে পড়তে চলেছে। আর তার জেরেই বাংলা ও ওড়িশা দুই রাজ্যেই লকডাউনের একাধিক বিধি শিথিল রয়েছে।
বাংলায় কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে?
নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে, চাষের কাজ,উদ্যানপালনে ইয়াস আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কৃষি সংক্রান্ত যন্ত্রাংশ , সার নিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও বাংলার লকডাউন বিধিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে ইয়াসের আশঙ্কায়। এছাড়াও বন্যা ও বর্ষার ক্ষেত্রে যে সমস্ত কাজ হয়, তাতে ছাড় থাকছে লকডাউনের মাঝে। তবে এই সমস্ত কাজের ক্ষেত্রে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার আবশ্যক বলে জানানো হয়েছে।
মমতার নির্দেশ
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন। তিনি নিজে নবান্নের কন্ট্রোল রুমে রাতভর জেগে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। ওদিকে, ঝড় মোকাবিলায়নবান্নের তরফে হেল্প লাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস' মোকাবিলায় নবান্নের তরফে প্রকাশ করা হল হেল্পলাইন নম্বর। ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে যে কোনও বিপদে পড়লে ফোন করুন এই নম্বরগুলিতে ১০৭০ এবং ০৩৩-২২১৪৩৫২৬। একইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলয়া দু'টি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর, ৮৯০০৭৯৩৫০৩ এবং ৮৯০০৭৯৩৫০৪।
ওড়িশাতেও লকডাউন শিথিল
এদিকে বাংলা ছাড়াও ওড়িশার উপকূলও করোনা পরিস্থিতিতে প্রহর গুনছে। সেই অবস্থায়, ওড়িশার ১০ টি উপকূলীয় এলাকায় লকডাউনের মাঝেও ইয়াসের আশঙ্কার কথা ভেবে আপাতত সমস্ত দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১০ টি উপকূলীয় জেলায় ২৪ থেকে ২৫ মে সকাল ৭ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।