নয়াদিল্লি: ভবিৎষত সুনিশ্চিত করতে অনেকেই বিভিন্ন খাতে ব্যয় করে থাকে। তবে সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। আর তার জন্যেই রয়েছে প্রধানমন্ত্রী বন্দনা যোজনা (Pradhan Mantri Vandana Yojana)। এটি এমন একটা যোজনা যেখানে আপনি পেনশন পাবেন পাশাপাশি আপনি যে পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করবেন সেটাও ফিরে পাবেন। এটি কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রকল্প। দেশের বৃহত্তম বীমা সংস্থা এলআইসির(LIC) মাধ্যমেও এখানে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। এই স্কিমে আপনি ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রীর বান্দনা যোজনায়(Pradhan Mantri Vandana Yojana) বিনিয়োগ করে আপনি বার্ষিক ৭.৬৬ শতাংশ সুদের হারে রিটার্ন পাবেন। গ্রাহকরা এটিতে ১০ বছর পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন।

এই স্কিমটি মূলত প্রবীণ নাগরিকদের জন্য।অর্থাৎ যাদের বয়স ৬০ বছরের উর্দ্ধে একমাত্র তারাই বিনিয়োগ করতে পারবেন। সর্বাধিক বয়সের সীমা নেই। এই স্কিমটি পুরোপুরি প্রদান করে কেনা যাবে। পেনশনধারীর পেনশনের পরিমাণ বা ক্রয় মূল্য চয়ন করার বিকল্প থাকে। এই স্কিমের মাধ্যমে গ্রাহক যদি চান তবে মাসিক ভিত্তিতে পেনশন নিতে পারবেন তবে ত্রৈমাসিক, অর্ধ-বার্ষিক এবং বার্ষিক ভিত্তিতে পেনশন নেওয়ার বিকল্পও রয়েছে। গ্রাহক যদি প্রতি মাসে পেনশন না নিতে চান তবে এটি বার্ষিক সুদের হার ৭.৬৬ শতাংশ এর সমান হয়। এতে সর্বোচ্চ ১৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা যেতে পারে।

এই প্রকল্পের আওতায় প্রতি মাসে কমপক্ষে ১০০০ টাকা বা বার্ষিক ১২০০০ টাকা পেনশন পাওয়া যায়। মাসিক ভিত্তিতে সর্বাধিক পেনশন সীমা ৯,২৫০টাকা অর্থাৎ বার্ষিক ১.১১ লক্ষ টাকা। প্রতি মাসে ১০০০ টাকা নেওয়ার জন্য আপনাকে ১.৬২ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। বার্ষিক ১২,০০০ টাকা পেনশন পেতে ১,৫৬ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। যদি কেউ মাসে ৯,২৫০ টাকা পেনশন চায় তবে তাকে ১৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এক বছরে ১.১১ লক্ষ টাকা পেতে চায় তবে ১৪,৫০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।

এখন, আপনি যদি এই স্কিমটিতে এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন, তবে পেনশন মাসিক ভিত্তিতে ৩,৩৩৩ টাকা এবং বার্ষিক ৪১,৫০০টাকা পেনশনের পাবেন। আপনি যদি তিন লাখ টাকা জমা দেন তবে মাসিক ভিত্তিতে আপনার পেনশন হবে 2000 টাকা, আর বার্ষিক আপনি পেনশন পাবেন ২৪,৯০০ টাকা।

যদি পলিসি ধারক বিনিয়োগের পর ১০ বছর পেনশন পাবেন। তার মধ্যে মৃত্যু হলে পলিসি ক্রয়মূল্য নমিনিকে ফেরত দেওয়া হয়। পলিসিধারক যদি ১০ বছর বেঁচে থাকেন তবে পেনশনের পাশাপাশি ক্রয়ের মূল্যও ফেরত দেওয়া হয়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.