লখনউ: ভারতে প্রতিটা দিন ক্রমে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। অতিমাত্রায় সংক্রমণের রাশ টানতে দেশে জোরকদমে চলছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য টিকাই এখন একমাত্র অস্ত্র। ইতিমধ্যে দেশের অনেক মানুষ পেয়ে গেছে টিকার দুটি ডোজ। আবার অনেকে প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয়টির জন্য তাকিয়ে সরকারের দিকে। অধিক জনসংখ্যার এই দেশে সকলকে টিকাকরণের আওতায় আনতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে সরকার। তবে যেখানে টিকার সংকটে একদল মানুষ হারাহার করছে , সেখানে আরেক দল নারাজ টিকা নিতে ।
সম্প্রতি দেখা মিলেছে টিকা না নেওয়ার জন্য জলে ঝাঁপ দেওয়ার মতো একটি বিরল ঘটনা। এই ঘটনাটি ঘটেছে ইউপি-র বড়বঙ্কি জেলার (Barabanki district) সিসাউন্ডা (Sisaunda) গ্রামে। টিকার হাত থেকে বাঁচতে প্রায় ২০০ জন গ্রামবাসী ঝাঁপিয়ে পড়েছে গ্রামেরই একটি নদিতে।
শনিবার সিসাউন্ডা (Sisaunda) গ্রামে টিকা দেওয়ার জন্য পৌঁছায় একটি স্বাস্থ্য কর্মীর দল। তাদের দেখে গ্রামবাসীরা ছুট দেয় নদীর দিকে। জানা গেছে টিকা নিতে নারাজ বলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে গ্রামবাসীরা। অনেক গ্রামবাসী আবার বলে, টিকাগুলি “বিষাক্ত” হওয়ার কারণে তাদের এই সিদ্ধান্ত।
সূত্রের খবর, টিকা না নেওয়ার কারণে অনেকে আবার গভীর জলে ঝাঁপ দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে। ঘটনার বেশ খানিকটা সময় পড়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা না দেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা উঠে আসে। এই ঘটনায় কার্যত অবাক স্বাস্থ্য কর্মীদের একাংশ। তার কারণ এর আগে হয়তো তাদের এমন বিরল ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়নি।
রামনগর উপ-বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (SDM) রাজীব কুমার শুক্লা এই বিষয়ে জানিয়েছে, তিনি গ্রামবাসীদের টিকার বিষয়ে অবগত করছেন। এর ফলে গ্রামের ১৭০০ জনের মধ্যে ১৪ জন করোনার টিকা গ্রহণ করেছে।
এই মুহূর্তে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৬৭ লক্ষ ৫২ হাজার ৪৪৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে অ্যাক্টিভ কেস হয়েছে ২৭ লক্ষ ২০ হাজার ৭১৬ জন । এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৩৭ লক্ষ ২৮ হাজার ১১ জন। দেশের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩ লক্ষ ৩ হাজার ৭২০ জনের। মোট ১৯ কোটি ৬০ লক্ষ ৫১ হাজার ৯৬২ জনকে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.