অভাবে দিনমজুর হওয়া আন্তর্জাতিক মহিলা ফুটবলারকে সাহায্যের আশ্বাস কেন্দ্র-রাজ্যের

করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউনে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়ের মতো অবস্থা। অভাবে ফুটবল যে বড় দায় ঝাড়খণ্ডের ২০ বছরের সঙ্গীতা সোরেনের কাছে। ভারতের মহিলা ফুটবল দলে ডাক পেয়েও অতিমারীর জেরে থমকে যাওয়া জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ইটভাটায় দিনমজুরের কাজ করা সঙ্গীতার দুঃখে ব্যথীত হয়েছিল দেশ। খবর কান পর্যন্ত পৌঁছতেই নড়েচড়ে বসতে বিন্দুমাত্র দেরি করেনি কেন্দ্র এবং ঝাড়খণ্ড প্রশাসন। দেশের প্রতিভাকে ছায়া দিতে এগিয়ে এসেছে দুই সরকার।

প্রথমবার ইংল্যান্ড সফরে বিরাট কোহলির পরামর্শ মেনে ফোকাসড গিলপ্রথমবার ইংল্যান্ড সফরে বিরাট কোহলির পরামর্শ মেনে ফোকাসড গিল

উদ্যোগী ঝাড়খণ্ড প্রশাসন

সঙ্গীতা সোরেনের পরিণতি জানার পরেই নড়েচড়ে বসাই শুধু নয়, তড়িঘড়ি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ঝাড়খণ্ড সরকার। ফুটবলারের এলাকা বাঘমারায় পৌঁছে যান ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার। প্রশাসনের তরফে প্রাথমিকভাবে সঙ্গীতা ও তাঁর পরিবারের হাতে এক লক্ষ টাকা ও পর্যাপ্ত রেশন তুলে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের গর্বকে আগামী দিনে আরও আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তিনি নিজে টুইট করে এ কথা জানিয়েছেন। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকেও এ ব্যাপারে টুইট করা হয়েছে।

কিরেণ রিজিজুর টুইট

ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের সদস্য সঙ্গীতা সোরেনের কথা পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর কান পর্যন্ত। সঙ্গে সঙ্গে তিনি টুইট করে ঝাড়খণ্ডের মহিলা ফুটবলের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন। লিখেছেন যে তিনি নিজে ফোনে সঙ্গীতার সঙ্গে কথা বলেছেন। অতিমারীর ভয়াবহ পরিস্থিতিতে জরুরিকালীন ভাবে সঙ্গীতা ও তাঁর পরিবারের যা যা প্রয়োজন, তা কেন্দ্রের তরফে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রিজিজু।

ফুটবলার সঙ্গীতার জীবনে আঁধার

ভারতের অনূর্ধ্ব ১৭ এবং ১৯ দলের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সৌজন্যে দেশের সিনিয়রদের ফুটবলে দলে ডাক পেয়েছিলেন সঙ্গীতা সোরেন। ২০২০ সালেই তাঁর জাতীয় শিবিরে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাসের ভয়ঙ্কর দাপটে কেঁপে ওঠে ভারত। সেই সঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে যায় সঙ্গীতার জীবন। সরকার লকডাউন ঘোষণা করতেই সীমাহীন দারিদ্রে ঢুবে যার তরুণ ফুটবলারের পরিবার। বাবা কার্যত অন্ধ, লকডাউনে কাজ খুঁজে না পেয়ে দিনমজুরের কাজে নেমে পড়েছেন সঙ্গীতার দাদা। পেট চালাতে একই কাজে যুক্ত হয়েছেন মা-ও। তাতেও সামাল দেওয়া মুশকিল হওয়ায় বাধ্য হয়ে ইটভাটার কাজে নেমে পড়েছেন সঙ্গীতা।

যুদ্ধ করে চলছে অনুশীলন

এত লড়াইয়ের মধ্যেও তবু হাল ছাড়তে রাজি নন ২০ বছরের মহিলা ক্রিকেটার। জানিয়েছেন হাড়ভাঙা পরিশ্রমের মধ্যেই তিনি সুযোগ পেলেই ছুটে যান ধানবাদের ফুটবল স্টেডিয়ামে। কোনওমতে গা ঘামিয়ে আবার তিনি ফিরে আসেন নিজের কাজে। অন্তত নিজের জন্য জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দিয়ে মাঠে নামাই তাঁর লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের ফুটবলার। এ লড়াইয়ে ঝাড়খণ্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন তাঁর পাশে আছে বলে জানিয়েছেন সঙ্গীতা।

ছবি সৌ:টুইটার

More FOOTBALL News  

Read more about:
English summary
Centre and Jharkhand government assure help to footballer Sangeeta Soren