কলকাতাঃ ধেয়ে আসছে ‘ইয়াস’ (Yaas)। পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) উপকূলবর্তী অঞ্চলে (Coastal area) আছড়ে পড়বে এই ঘূর্নিঝড় (Cyclone)। স্বাভাবিক ভাবেই সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া বন্ধ রাখা, উপকূল অঞ্চল খালি করা সকল ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। কিন্তু চিন্তা তো রয়েই গিয়েছে সেই সকল মানুষদের, যাদের মাথার গোঁজার ঠাঁইটা মজবুত নয়। এদেরই মধ্যে একজন হলেন পান্তি পিসি। বাঁশের কঞ্চি, বেড়া ও মাটিলেপা এক রত্তির বাড়ির বিভিন্ন অংশ ‘আম্ফান’(Amphan cyclone) এবং ‘বুলবুল’ (Bulbul cyclone) ধ্বংস করেছে। তাই ত্রিপল ঘেরা নড়বরে ওই বাড়িতে থেকেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পান্তি পিসি। কিন্তু সামনেই আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ (Yass Cyclone)। তাই নিজের মাথার ছাদ নিয়ে চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে তার। পান্তি পিসির এই অসহায়তার খবর সোশ্যাল সাইটে জানতে পেরেই সাহায্যের আশ্বাস দিলেন সাংসদ অভিনেতা দেব (Dev)।

বহুবার সরকারি সাহায্য চেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। কিন্তু ব্যর্থ হয়েও হার মানেননি পশিম মেদিনীপুরের (West Midnapur) ঘাটাল (Ghatal) কেন্দ্রের দাসপুর ২ ব্লকের সোনামুই গ্রামের বাসিন্দা শিখা চক্রবর্তী। এলাকায় তিনি পান্ত পিসি নামেই পরিচিত। স্থানীয় এক সংবাদসংস্থার মাধ্যমে শিখা দেবীর এই দুর্দশার সংবাদ নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। সেই খবর দেবের চোখে পরতেই সোনামুই গ্রামে প্রতিনিধি পাঠান তিনি। শিখা দেবীকে নতুন বাড়ি করে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে দেবের পাঠানো অত্যাবশকীয় কিছু খাবার এবং আর্থিক অনুদান দিয়ে এসেছেন ওই প্রতিনিধি। কেবল তাই নয় ঝড়ের সময় শিখা দেবীকে থাকার জন্যে একটি অস্থায়ী বাড়ির বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন ঘাটালের সাংসদ দেব। কিন্তু শিখা দেবী সেই বাড়িতে থাকতে চান না। নিজের প্রতিবেশীর বাড়িতে থেকেই ঝড় কাটিয়ে উঠতে চান তিনি। নিজের চোখেই দেখতে চান তার ওই একরত্তি ঝুরঝুরে বাড়িটা কীভাবে ‘যশ’এর মোকাবিলা করে।

করোনা মহামারী (Covid pandemic) এই দুর্দিনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন সাংসদ অভিনেতা দেব। এবার ‘যশের’ কবল থেকেও সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলেন তিনি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.