কলকাতা: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ (Yaas) । আমফানের (Amphan) থেকেও এই ঝড় ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) । সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্যোগের (Disaster) রেশ ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকবে বলে আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রীর।
করোনাকালে (Coronavirus) ফের এক ঘূর্ণিঝড় এক ধেয়ে আসছে রাজ্যের উপকূলে। আবারও তছনছ হয়ে যেতে পারে রাজ্যের একাংশ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার (Wb Govt) । উপকূলের (Costal) জেলাগুলির সমুদ্র, নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে কেক লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা পুরোপুরিভাবে ফাঁকা করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে জোরকদমে। তবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আমফানের চেয়েও আরও মারাত্মক হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিপর্যয় এলে মানুষকে ধৈর্য রাখতে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমফানের থেকেও বড় হতে চলেছে। কম হলে খুশি হব। তবে বিপর্যয়ের সময়ে ধৈর্য ধরতে হবে। দুর্যোগের আশঙ্কা থাকছে। দুর্যোগের রেশ থাকবে ৭২ ঘণ্টা। জেনেশুনে জীবনের ঝুঁকি নেবেন না। মৎস্যজীবীদের (Fishermen) সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কাল থেকে ৪৮ ঘণ্টা মনিটরিং চলবে। আজও মনিটরিং চলছে। দুর্যোগের জন্য কন্ট্রোলরুম (Control room) ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকছে। দুর্যোগের রেশ থাকবে ৭২ ঘণ্টা। সমুদ্রে মাছ ধরতে কেউ যাবেন না।’’
রাজ্যের ২০ জেলা (Districts) দুর্যোগের কবলে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘২০ জেলায় সাইক্লোনের দাপট চলবে। ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলি, বর্ধামানেও চলবে দুর্যোগ। উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টি হবে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা, ‘‘এই সাইক্লোন ভয়াবহ আকার নেবে।’
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে চার হাজার সাইক্লোন সেন্টার রেডি আছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজ্যজুড়ে ৫১ বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। বিভিন্ন ব্লকে রিলিফ সেন্টার খোলা হয়েছে। ৪ হাজার সাইক্লোন সেন্টার, ফুড শেল্টার রেডি আছে। উপকূলের মানুষকে অন্যত্র সরানোর কাজ হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বেশি ক্ষতি হবে। ব্লকে ব্লকে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঝড় নিয়ে আতঙ্ক ছড়াবেন না। দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, দুই মেদিনীপুরে দুর্যোগ হবে।’’
আগেভাগেই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় অন্ধ্রপ্রদেশ, ওডিশা-সহ বাংলাকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে অন্ধ্র, ওডিশাকে ৬০০ কোটি টাকা করে সাহায্যের ঘোষণা হলেও বাংলাকে ৪০০ কোটি টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র। এপ্রসঙ্গে এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,, ‘‘সকালে অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। অন্ধ্র (Andhra pradesh) ও ওডিশাকে ৬০০ কোটি দিচ্ছে। আমাদের রাজ্য বড় হলেও কম সাহায্য কম দিচ্ছে।’’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.