কলকাতা: করোনা আতঙ্কে গোটা দেশ ত্রস্ত, ভীত, শঙ্কিত। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে ভারতবর্ষের (India) স্বাস্থ্যের পরিকাঠামো। ঠিক সেই কারণেই এখন গোটা দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় কোথাও চলছে লকডাউন তো কোথাও চলছে আংশিক লকডাউন (Lockdown)। বড়দের কথা তো ছেড়েই দিন কিন্তু একবার ভেবে দেখুন তো ছোটদের কথা যাদের এই সময়ে স্কুলে যাবার কথা মাঠে খেলতে যাওয়ার কথা বন্ধুর সঙ্গে টিফিন ভাগ করে নেওয়ার কথা। তাদের সেই শৈশবে কোথাও পড়ে গেছে একটা লম্বা ফুলস্টপ। লকডাউনের কারণে বন্ধ স্কুল কলেজ। বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটাবে সে সুযোগও তেমনভাবে হচ্ছে না “ওয়ার্ক ফ্রম হোম”(Work from home)পলিসির জন্য। তবে তাও যেটুকু সময় পাওয়া যায় ।কিন্তু টলিউডের এই খুদে অভিনেত্রীর জীবনে সেটাতেও বাঁধা পড়েছিল।
করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ‘কাদম্বিনী’র (Kadambini)ছোটবেলা এবং সম্প্রতি স্টার জলসাতে (Star Jalsha) সম্প্রচারিত ‘ফেলনা’ (Felna) খ্যাত অভিনেত্রী মেঘানের (Meghan Chakraborty) বাবা। গতবছর করোনার প্রকোপ দেখে এই রোগকে তার দুষ্টু রাক্ষস বলে মনে হয়েছিল। তবে এখন তাঁর বাবা সম্পূর্ণ সুস্থ। ফুসফুসে ফাইব্রোসিসের জন্য সামান্য শ্বাসকষ্ট রয়েছে। তবে আপাতত মেঘন নিজেকে সুস্থ রাখতে মায়ের কথা শুনে সমস্ত বিধি মেনে চলছে। ভিটামিন, প্রোটিন, গরম জল-ও খাচ্ছে এই ক্ষুদে অভিনেত্রী। সমস্ত নিয়ম এবং বিধি মেনে মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবহার করছে। ঘর থেকে একদম বাইরে বেরোচ্ছে না সে।
মেঘানের বাবাই মেঘানের সব থেকে কাছের বন্ধু। যার সঙ্গে হাসিতে মজাতে কেটে যায় মেঘানের সময়। মেঘানের বাবা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। মেঘানের সব থেকে কাছের বন্ধুই বাড়িতে নেই। হাসপাতালে ভরতি। তাই মেঘানের দাদার মন খারাপ। অন্যদিকে বাবাকে নিয়ে হাসপাতালের মায়ের ব্যস্ততা তাঁর মনকে যেন আরো ব্যথিত করে তুলেছিল।
শোনা যায় সেই কঠিন সময়ে সর্বক্ষণ নাকি সে ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করত, তাঁর বাবা যেন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসে। ক্যালকাটা গার্লস স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী সে। বাড়িরও সব থেকে ছোট সদস্য। তাই মেঘানের মন খারাপ দেখে সারা বাড়িরও সেই সময় মুখ ভার থাকতো।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.