নয়া দিল্লিঃ প্রাণঘাতী ভাইরাসের তাণ্ডবে দেশজুড়ে লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি। রোজকার আক্রান্তের সংখ্যা দু’লক্ষের উপরে। থেমে নেই মৃতের সংখ্যা। আক্রান্তের সঙ্গে সমান তালে তাল মিলিয়ে বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যাও। চারিদিকে স্বজন হারানোর কান্না। শ্মশানে নিরাবতার জো নেই। এহেন সংকটজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে সরকার। তদুপরি দিনরাত এক করে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা করে চলেছেন চিকিৎসক-স্বাস্থ্য কর্মী থেকে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা। আর মানুষের সেবা করতে করতে তাঁদের মধ্যে অনেকেই ঢলে পড়ছেন মৃত্যুর কোলে।
তেমনই করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ৯ মে মৃত্যুবরণ করেছেন দিল্লির জিটিবি হাসপাতালের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের এক জুনিয়র আবাসিক চিকিৎসক মুজাহিদ। এদিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রয়াত “করোনার যোদ্ধা” ডাঃ আনাস মুজাহিদের পরিবারকে এক কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। শনিবার এক বিবৃতিতে কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, ” দিল্লিতে (Delhi) করোনার সূচনা পর্ব থেকেই প্রয়াত ডাঃ আনাস জিটিবি হাসপাতালে কঠোর পরিশ্রম করে দিল্লির লোকদের সেবা করছিলেন। ডাঃ আনাসের মতো অনেক করোনা যোদ্ধা দিল্লির জনগণকে প্রথম সারিতে (Frontline Worker) দাঁড়িয়ে চিকিৎসা দিয়ে চলেছেন এবং আনাসের মতো লোকের কারণেই আমরা জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়েছি এবং দিল্লি সরকার করোনা মহামারীর (Corona) বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হয়েছে।”
অরবিন্দ কেজরিওয়াল (CM Arvind Kejriwal) আরও বলেন, “আমি আনাসের বাবা ডাঃ মুজাহিদুল ইসলামের সাথে কথা বলেছি এবং যখন আমি তাকে ভবিষ্যতে যে কোনও সহায়তার আশ্বাস দিয়েছি, তখন তিনি বলেছিলেন যে তার এবং তার পরিবারের কোনও কিছুর দরকার নেই, তার একমাত্র আকাঙ্ক্ষা যে তিনি এবং তার পরিবার মানুষের সেবা করে যেতে চান। আমি তার এই চিন্তাকে সালাম জানাই এবং ভবিষ্যতে তাদের যে কোনও সহায়তার প্রয়োজন হলে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াব।”
অন্যদিকে ডাঃ মুজাহিদুল ইসলাম এই সঙ্কটের সময়ে পরিবারকে সাহায্য করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং দিল্লি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে তিনি চান তার অন্যান্য সন্তানরাও ছেলে মুজাহিদের মতো “জাতির সেবা করুক”।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.