পুলিশি জেরায় স্বীকারোক্তি
গত ৪ মে দিল্লির ছত্রসল স্টেডিয়ামে প্রাক্তন জুনিয়র জাতীয় কুস্তি চ্যাম্পিয়ন ২৩ বছরের সাগর রানাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল। ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আরও দুই জন। যাঁদের বয়ান থেকে জানা গিয়েছিল যে ঘটনার সময় স্টেডিয়ামে ছিলেন সুশীল কুমার। গ্রেফতারির পর পুলিশি জেরায় সেকথা স্বীকারও করে নিয়েছেন দেশের প্রাক্তন অলিম্পিয়ান।
বারবার অবস্থান বদল
সুশীল কুমার ও তাঁর সহযোগীকে প্রাথমিক জেরার পর পুলিশ জানতে পেরেছে যে শেষ ১৮ দিনে সাতটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সীমানা পার করেন অভিযুক্তরা। উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, পাঞ্জাবে পৃথক সময় গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন অলিম্পিকে দেশের মুখ উজ্জ্বল করা কুস্তিগীর। ইতিমধ্যে পুলিশকে বোকা বানাতে বারবার সুশীল বারবার নিজের সিম কার্ড পরিবর্তন করেছেন বলে জানানো হয়েছে। সবশেষে পশ্চিম দিল্লিতে ফিরে আসতেই পুলিশের নজরে পড়ে যান কুস্তিগীর।
মুন্দকা থেকে গ্রেফতার সুশীল
প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলার পর কুস্তিগীর সাগর রানা হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সুশীল কুমারকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভারতের তারকা কুস্তিগীর এবং ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত তাঁর সহযোগী অজয় ওরফে সুনীলকে পশ্চিম দিল্লির মুন্দকা থেকে ধরেছেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, শনিবার রাতে রটে যাওয়া খবর অনুযায়ী সুশীল এবং তাঁর সহযোগীদের নাকি পাঞ্জাব থেকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। সদলবলে নাকি সে রাজ্যেই ঘাঁটি গেড়েছিলেন অলিম্পিকে জোড়া পদকজয়ী ভারতীয় কুস্তিগীর। সেই জল্পনা উড়িয়ে দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার পিএস কুশওয়াহা জানিয়েছেন, মুন্দকা এলাকাতেই আত্মগোপন করেছিলেন সুশীল। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের প্রেক্ষিতে অভিযান অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুশওয়াহা।
হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে পুলিশ
সুশীল কুমার এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের হয়েছে। খুন, অপহরণ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, তথ্য গোপন এবং অস্ত্র আইন সহ আরও অন্যান্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। কুস্তিগীর সুশীল সহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।