চাহিদা তুঙ্গে থাকলেও এই প্রথমবার অক্সিজেন সঙ্কট হ্রাস পেয়েছে দেশে

গত একমাস ধরে দেশজুড়ে অক্সিজেনের সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছিল। দেশের একাধিক রাজ্যের হাসপাতালে করোনা আবহে অক্সিজেনের অভাবে বহু রোগীকে ভুক্তভোগী হতে হয়েছে বা অনেক রোগীই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। তবে একমাসের মধ্যে এই প্রথমবার শেষ ৭২ ঘণ্টায় অক্সিজেনের চাহিদা কিছুটা হলেও হ্রাস পেয়েছে।

একমাস পর কমল অক্সিজেনের চাহিদা

এক কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‌দৈনিক ৮,৯০০ এমটি থেকে অক্সিজেন চাহিদা কমে ৮০০০ এমটিতে এসে ঠেকেছে।'‌ তবে অক্সিজেনের সরবরাহের পরিমাণ হ্রাস পেলেও গত বছরের কোভিড-১৯-এর প্রথম ওয়েভের চেয়ে অক্সিজেনের চাহিদা অনেকটাই ঊর্ধ্বগামী। অক্সিজেন সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া একটি ক্ষমতায়িত আধিকারিকদের দ্বারা তথ্য থেকে জানা গিয়েছে যে ৯ মে দেশের হাসপাতালগুলিতে দৈনিক ৮,৯৪৪ মেট্রিক টন অক্সিজেন যোগানের শিখরের থেকে তা হ্রাস পেয়ে ১৮-১৯ মে-তে দৈনিক অক্সিজেন সরবরাহ এসে দাঁড়িয়েছে ৮,১০০ এমটিতে। তবে এটা ফের বৃদ্ধি পেয়ে দৈনিক ৮,৩৩৪ এমটিতে পৌঁছায় ২০ মে-তেই। মোট অক্সিজেনের মধ্যে রয়েছে উৎপাদক এবং রিফিলাররা এবং হাসপাতালে রিফিলার সরবরাহকারী সিলিন্ডারে বিপুল পরিমাণে সরবরাহ করা তরল অক্সিজেন।

চাহিদা বেড়েছে এলএমওর

প্রথম ওয়েভের সময় সর্বাধিক তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন বিক্রি হয়েছে প্রতিদিন ৩,০৯৫ এমটি, যা ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরের পরিসংখ্যান ছিল। এরপর থেকেই তরল অক্সিজেনের সরবরাহ কমতে থাকে। এমনকী এ বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন দিনে ১,৫৫৯ এমটি বিক্রি হত। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে কেস যত বৃদ্ধি পেতে লাগল তরল মেডিক্যাল অক্সিজেনের চাহিদাও বাড়তে শুরু করে দিল। ৩০ এপ্রিল দৈনিক ৮০০০ এমটি অত্রিক্রম করার পর তা ক্রমশঃ বাড়তে শুরু করে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই ৬ মে দেশে সর্বাধিক করোনা কেস রেকর্ড হয় ৪.‌১৪ লক্ষ।

এলএমও ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে

৯ মে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোর পরে, হাসপাতালে এলএমও সরবরাহ ক্রমাগত হ্রাস পেতে শুরু করে এবং ১৪ মে ৮,৩৯৪ এমটিতে নেমে আসে। কিন্তু তা ফের বৃদ্ধি পায় ১৭ মে ৮৯০০ এমটির ওপরে। এরপর ১৮-১৯ মে হাসপাতালগুলিতে এলএমও সরবরাহ আবার ৮,১০০-তে নেমে আসে। লক্ষণীয় বিষয় হল, হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের সরবরাহ এখনও দিনে প্রায় ৮,০০০ মেট্রিক টনে ঘুরে বেড়াচ্ছে, যখন দৈনিক নতুন মামলার সংখ্যা তিন লক্ষের নিচে নেমে গিয়েছে।

প্রথম ওয়েভের চেয়ে দ্বিতীয় ওয়েভ মারাত্মক

প্রথম ওয়েভের চেয়ে দ্বিতীয় ওয়েভ মারাত্মক

'নিজে অকর্মন্য, অন্যেদেরও হাত বাঁধা’, করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী'নিজে অকর্মন্য, অন্যেদেরও হাত বাঁধা’, করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী


More OXYGEN News  

Read more about:
English summary
demand still high but first signs o2 crisis is waning