কলকাতাঃ করোনার (Covid 19) মারণ কামড়ে যখন বিধ্বস্থ দেশবাসী ঠিক সেই সময়েই উড়ে এসে জুড়ে বসেছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (Black Fungus)। একা করোনায় রক্ষে ছিল না, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস দোসর হয়ে হাজির হয়েছে। ইতিমধ্যে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন একাধিক মানুষ। পশ্চিমবঙ্গেও (West Bengal) হদিস মিলেছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্ত রোগীর। করোনা, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস, গৃহবন্দী জীবন সকল কিছু মিলিয়ে তৈরি হওয়া এই মন খাররাপের পরিবেশে বহু মানুষ মানসিক অবসাদের স্বীকার হচ্ছেন। সেই সকল মানসিক অবসাদগ্রস্থ মানুষের জন্যেই একটি নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করছেন বঙ্গ তনয়া ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty)। চালু করতে চলেছেন একটি হেল্পলাইন নম্বর।

করোনা (Corona virus) কালে মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে গৃহবন্দী। গতবছর দীর্ঘ আট নয় মাস লকডাউনের (Lockdown) পর যখন মানুষ আসতে আসতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছিল, ঠিক সেই সময়ে আবারও গতবছরের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের (Second Wave) সংক্রমণের ক্ষমতা আরও সাংঘাতিক। নিত্য হাজার হাজার মানুষের প্রান কেড়ে নিচ্ছে। করোনা মানুষকে স্বজনহারা করছে। স্বজন হারানোর যন্ত্রণা, গৃহবন্দী জীবন এই সকল কিছুকে ঘিরে মানুষের মধ্যে তৈরি হচ্ছে মানসিক অবসাদ। তাই এক মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে চলেছেন সকলের প্রিয় ললিতা ওরফে ঋতাভরী চক্রবর্তী। শনিবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social media) জানিয়েছেন এই উদ্যোগের কথা। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি চালু করতে চলেছেন একটি হেল্পলাইন নম্বর। যেখানে মানসিক অবসাদগ্রস্থ ব্যক্তিরা ফোন করলেই মিলবে সাইকিয়াট্রিস্ট (Psychiatrist) বা মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের বিশেষ পরামর্শ।

এদিনের পোস্টে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘ভালোবাসা পেতে কার না ভাল লাগে? তোমরা আছো বলেই আমি আছি। আশীর্বাদ করো, যাতে আরো অনেক ভালো ভালো কাজ করতে পারি আর মানুষের পাশে থাকতে পারি’। তারপরেই তিনি এই উদ্যোগের কথা লিখেছেন। তিনি জানান ‘আমি একটা হেল্পলাইন চালু করতে চলেছি সপ্তাহ খানেকের মধ্যে। যারা এই অভূতপূর্ব কোভিড আক্রান্ত সময়ে নানান সমস্যার মোকাবিলা করতে গিয়ে মানসিক ভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে, তারা সরাসরি সাইকিয়াট্রিস্ট বা মেন্টাল হেলথ বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলতে পারবে’। এই কঠিন সময়টি একে অপরের সহানুভূতি এবং ভালোবাসা দিয়েই অতিক্রম করা সম্ভব বলেই মনে করছেন ঋতাভরী।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.