কতটা নিরাপত্তা দিচ্ছে কোভিশিল্ড ও ফাইজারের টিকা?
আন্তর্জাতিক সূত্রের মতে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার 'কোভিশিল্ড' ও ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার উপর গবেষণা চালিয়েছে পিএইচই। ভারতীয় স্ট্রেন বি.১.৬১৭.২ ও ইংল্যান্ডের স্ট্রেন বি.১.১.৭-র বিরুদ্ধে লড়তে কতদূর সক্ষম এই দুই টিকা, তাই পরীক্ষা করে দেখেন পিএইচইর গবেষকরা। বিজ্ঞানীদের মতে, এই দুই ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নিলে ভারতীয় স্ট্রেনের বিরুদ্ধে ৮১% ও ব্রিটিশ স্ট্রেনের বিরুদ্ধে ৮৭% পর্যন্ত নিরাপত্তা পাবেন গ্রহীতারা।
এক ডোজে নিরাপত্তা অর্ধেকেরও কম!
পিএইচইর তথ্যে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশ জুড়ে। করোনা টিকার শুধু প্রথম ডোজ গ্রহণে ভারতীয় স্ট্রেনের বিরুদ্ধে মাত্র ৩৩% নিরাপত্তা মিললেও ব্রিটিশ স্ট্রেনের বিরুদ্ধে তা বেড়ে হয় ৫১%। "শুধু প্রথম ডোজ নিলে প্রায় ৩৫% নিরাপত্তা অধরাই থেকে যায় নাগরিকদের শরীরে", বিবৃতিতে জানিয়েছে পিএইচই। ফিনান্সিয়াল টাইমস মোতাবেক, শুক্রবার নার্ভট্যাগ-র একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এহেন চাঞ্চল্যকর তথ্যগুলি পেশ করা হয়।
কোভিড-রাজত্বে কর্তৃত্ব ফলাচ্ছে ভারতীয় স্ট্রেন!
সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যের ২০,০০০ নমুনা পরীক্ষা করে ভারতের এসএআরএস-সিওভি-২ জিনোমিক কনসর্টিয়ামের (ইন্সাকগ)। এর মধ্যে প্রায় ৮,০০০ ক্ষেত্রে বি.১.৬১৭.২-কে 'প্রভাবশালী' হিসেবে চিহ্নিত করেন গবেষকরা। সম্প্রতি ব্রিটেনের বেশ কিছু গবেষণার উপর ভিত্তি করে কোভিশিল্ডের ডোজ ব্যবধান বাড়িয়েছে কেন্দ্র। যদিও উল্টোপথে হেঁটে ডোজ ব্যবধান কমলেও টিকাকরণের মাত্রা বাড়াচ্ছে ব্রিটিশ প্রশাসন, খবর সূত্রের।
সঙ্কটকালেই নতুন আশার আলো, দেশব্যাপী অনেকটাই কমল টিকা নষ্টের পরিমাণ
ব্রিটিশ স্ট্রেনের চেয়ে ৫০% অধিক সংক্রামক ভারতীয় স্ট্রেন!
একটি ডোজ পেয়েছেন, এমন ১৯ কোটি নাগরিকের প্রায় ৯০%-ই পেয়েছেন কোভিশিল্ড, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে এমনটাই। পাশাপাশি এক্ষেত্রে যথেষ্ট ভারসাম্য বজায় রাখতে পেরেছে ভারত বায়োটেকের 'কোভ্যাক্সিন'। অন্যদিকে নার্ভট্যাগের গবেষণা অনুসারে, সংক্রমণের গতির নিরিখে ব্রিটিশ স্ট্রেন, ভারতীয় স্ট্রেনের তুলনায় প্রায় ৫০% মন্থর। স্বাভাবিকভাবেই ভারতের কোভিড পরিস্থিতি ও ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতা যে ক্রমশ মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে দেশগুলির, তা স্পষ্ট সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানেই।