নয়াদিল্লি : করোনা সংক্রমণের (Corona Virus) চিকিৎসায় জিঙ্কের (Zink) ব্যবহার ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (Black Fungus) সংক্রমণের কারণ হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গবেষকরা বলছেন, মানুষের শরীরে জিঙ্ক ও লোহার উপস্থিতি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আদর্শ পরিবেশ সৃষ্টি করে। তাই করোনা চিকিৎসায় জিঙ্কের ব্যবহার নিয়ে এবার ভাবার সময় এসেছে বলেও তাঁদের মত।
দেশে গত ২২ মে পর্যন্ত ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছে ৯ হাজার জন। এদের মধ্যে কেউ করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মাটি থেকে ও পচনশীল জৈব বস্তু থেকে এই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে ৰাথমিক মত দিচ্ছেন চিকৎসকরা । এ পর্যন্ত ২১২ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এর মধ্যে ৯০জন মহারাষ্ট্রের এবং ৬১ জন গুজরাতের মানুষ রয়েছেন।
সাধারণত মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন। তাঁদের মতে যাদের রক্তে শর্করার (Blood Sugar) পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত নয়, যারা স্টেরয়ের ব্যবহার করেন, তাঁদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। চিন্তার বিষয় হচ্ছে আজকাল অল্প বয়সীদের মধ্যেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার জন্য ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি ঘোষণা করেছে তামিলনাড়ু, গুজরাত, ওডিশা, বিহার, উত্তরাখন্ড, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা ও চন্ডিগড়ে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশে এই রাজ্যগুলি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে তাদের রাজ্যে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে রাজ্যগুলিকে নিবিড় ভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা ভেন্টিলেটর জনিত কারণে নিউমোনিয়া আক্রান্ত , ক্যাথেটার জনিত কারণে রক্তজনিত সংক্রমণ যাদের আছে, ক্যাথেটার জনিত কারণে মূত্রনালির সংক্রমণ যাদের আছে , অপেরেশনের পর সেই জায়গায় সংক্রমণ যাদের হয়েছে, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগে যারা ভুগছেন তাদের প্রতি নিবিড় ভাবে নজরদারি চালাতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক নির্দেশ দিয়েছে। কারণ এদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
শনিবার নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভাগের সদস্য ভি কে পাল জানান, “করোনা চিকিৎসার সময় অপরিমিত ভাবে স্টেরয়েড ব্যবহার
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কারণ। তবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের আরও অন্য কারণগুলো অনুসন্ধান করা হচ্ছে। তবে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় জিঙ্ক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।” আইএমএ -র (IMA) প্রাক্তন সভাপতি রাজীব জয়দেবন জানান, “মানুষের শরীরে যে সব ধাতব পদার্থ থাকে তার মধ্যে জিঙ্ক ও লোহার উপস্থিতি শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বৃদ্ধির আদর্শ পরিস্থিতি তৈরি করে। তবে জিঙ্ক ও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের মধ্যেকার সম্পর্কের বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।”
পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়া-র মহামারি বিশেষজ্ঞ গিরিধর বাবু বলেন, “ব্ল্যাক ফাংগাস নিয়ে বহু রকমের অনুসন্ধান, গবেষণা চলছে। তবে এই রোগের অন্য কারণ থাকতেই পারে। হতেও পারে অক্সিজেন দেওয়ার থেকে বা শরীরে অন্য রোগ থাকার ফলে মানুষ ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হতে পাতেন। শুধু ছত্রাকের চিকিৎসা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উৎস সন্ধান করতে পারবে না। এর জন্য একটি উপযুক্ত ছত্রাক বিশেষজ্ঞ ও বায়োমেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে কমিটি করা প্রয়োজন, যারা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের আসল কারণ খুঁজে বার করতে পারবেন।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.