নয়াদিল্লি: আগামী ২৬ তারিখ বঙ্গোপসাগরীয় উপকূলে (Coastal Area) আছড়ে পড়তে চলেছে বছরের দ্বিতীয় সাইক্লোন ‘ইয়াস’ (Yaas)। ভয়ঙ্কর এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তৎপর রাজ্য থেকে কেন্দ্র সকলেই। এবার এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), এবং অন্যান্য মন্ত্রীরা।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই বৈঠক সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে। যেখানে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের (National Disaster Management Authority) ঊর্ধ্বতন আধিকারিক, টেলিকম, বিদ্যুৎ, বিমান, এবং অর্থ মন্ত্রকের সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।

ইতিমধ্যেই ওডিশা (Odisha) সরকার উপকূলীয় জেলাগুলিতে একটি হাই এলার্ট জারি করেছে। পাশাপাশি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (National Disaster Management) পশ্চিমবঙ্গ এবং ওডিশায় মোতায়েন করা হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলগুলো (Coastal Area) থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সাইক্লোন (Cyclone)আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ভিড়ের কারণে ভাইরাস সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না যায় সে বিষয়ে কর্মকর্তাদের সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছে ওডিশাও মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক (Navin Pattyanayek)।

আবহাওয়া অফিসের (IMD)তরফে জানানো হয়েছে ২২ মে সকালে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। এটি ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে উত্তর ও উত্তরপশ্চিম দিকে।সেই নিম্নচাপ আগামী ২৪ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে আর তার ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ‘অতি তীব্র’ ঘূর্নিঝড়ে পরিণত হবে। ২৫ তারিখ সন্ধ্যা থেকে কখনও হালকা থেকে মাঝারি কখনও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে উপকূলীয় জেলাগুলোতে। সময় অন্তর বাড়বে বৃষ্টির পরিমান। ২৫ তারিখ সন্ধ্যায় ওই অঞ্চলে হাওয়ার গতি থাকবে সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটার। ২৬ তারিখ সকালে গতি বাড়িয়ে ঝড় ক্রমশ এগিয় আসবে বাংলা ও ওড়িশার উপকূলের দিকে।

সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বেশ কিছু দূরপাল্লার স্পেশাল ট্রেন বাতিল করেছে (Train Cancel) পূর্ব রেল (Eastern Rail)। জানা যাচ্ছে ৯টি দূরপাল্লার ট্রেনকে আগামী ২৫ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে বাতিল করা হয়েছে ।

ইয়াস-এর মোকাবিলায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শনিবার নবান্নে সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিক, জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপাররা। বৈঠকের পর টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, আধিকারিকদের দ্রুত ঝড় মোকাবিলার আগাম পরিকল্পনা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.