ঝড়ের গতিবেগ হবে ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার!
২৬ মে বুধবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পারাদ্বীপ ও সাগরের মধ্যে উপকূল ছুঁতে পারে। এর আগে ওইদিন ভোরে উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল। সমুদ্রবক্ষে আর দীর্ঘক্ষণ থাকায় আরও শক্তি বাড়িয়ে ফেলবে ইয়াস, এমনই আভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। আলিপুর হাওয়া অফিসের সহ অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দুপুরে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইবে। আর আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের গতিবেগ হবে ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার
আম্ফানের থেকে অনেক বেশি অভিঘাত ইয়াসের
আম্ফান ১৫৬ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়েছিল বকখালিতে। সেই তুলনায় ইয়াসের সর্বোচ্চ গতিবেগ বেশি হবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। হওয়া অফিস আগে জানিয়েছিল, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এমনই এক প্রকৃতির ঝড় যার অভিঘাত অনেক বেশি। ১২০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়লে তার অভিঘাত হবে ১৭০ কিলোমিটারের মতো। এখন দেখা যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের গতিবেগ হবে ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার।
আম্ফানের থেকে ইয়াসের আয়তন অনেক বেশি
তারপর আবহবিদরা জানিয়েছেন, পূর্ব ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের ব্যাস অনেক বেশি। আম্ফানের ব্যাসার্ধ ছিল ৪৫০ কিলোমিটার, আর ইয়াসের ব্যাসার্ধ ৬০০ কিলোমিটার। আম্ফানের থেকে অনেক বেশি জায়গা নিয়ে এগোবে ইয়াস। আয়তনে অনেকটাই বড় ঘূর্ণি ইয়াস। আম্ফান ৯০০ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে এগিয়েছিল, আর ইয়াস এগোচ্ছে ১২০০ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে।
সাগর আর পারাদ্বীপের মাঝে আছড়ে পড়বে ইয়াস!
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের অভিমুথ উত্তরমুখী। বঙ্গোপসাগর দিয়ে এগনোর সময় পশ্চিমদিকে টার্ন নিতে পারে ইয়াস। সেক্ষেত্রে আরও পারাদ্বীপের দিকে ধেয়ে যায়, নাকি সাগর আর পারাদ্বীপের মাঝেই আছড়ে পড়ে, তা-ই দেখার। এই ঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেবে ২৪ মে অর্থাৎ সোমবার থেকে। ২৬ মে মহাদুর্যোগের পর ২৭ মেও ভারী বৃষ্টি হবে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ঝাপটাও অনেক দূর বিস্তৃত হবে
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস অনেক বেশি জায়গাজুড়ে হওয়ায় ঝাপটাও অনেক দূর বিস্তৃত হবে। বাংলার সমস্ত জেলাতেই এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলির পাশাপাশি দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদহে এর প্রভাব পড়বে সবথেকে বেশি।