দুই বিজেপি নেতাকে নোটিস
'ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস' এর খবর অনুযায়ী, কেরলের ত্রিশূরের পুলিশে সেখানের বিজেপির জেনারেল সেক্রেটারি তথা আরএসএস প্রচারক এম গণেশন ও বিজেপি স্টেট অফিস সেক্রেটারি ডি গিরীশনকে তলব করেছে। ৩ এপ্রিল কেরলে হাইওয়তে ডাকাতির ঘটনার তদন্তকারী দলের সামেন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
ঘটনা ঘিরে তোপ , পাল্টা তোপ
৩ এপ্রিলের ঘটনা নিয়ে সেই সময় থেকেই সরব হন বামেরা। তাদের দাবি, ভোটে যে টাকা ব্যবহার করতে পারেনি বিজেপি, সেই টাকা লুঠ হয়েছে। আর বামেদের অভিযোগ এর নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি নেতারা। লাল পার্টির দাবি, হাইওয়ে দিয়ে সেই রাতে যে গাড়ি ভর্তি টাকা যাবে, তা স্থানীয় বিজেপি নেতারা জানতেন। এদিকে, গোটা ঘটনা নিয়ে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। বিজেপি সাফ জানিয়েছে, না বিজেপি , না এনডিএর কোনও নেতা এর সঙ্গে জড়িত। বিজেপির দাবি, বাম শাসিত রাজ্যের পুলিশ বলছে ৩.৫ কোটি টাকা লুঠ হয়েছে, যার লুঠ করা অর্থ এখনও পুলিশ সামনে আনতে পারেনি। আর এই ব্যর্থতা ঢাকতে বিজেপির ওপর প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু হয়েছে।
ত্রিশূর-কোচি হাইওয়ের ডাকাতি ও কিছু তথ্য
এর আগে , ত্রিশূরের দুই বিজেপি নেতাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় বিজয়ন সরকারের পুলিশ। এদিকে, ৩ এপ্রিলের ঘটনার প্রেক্ষিতে কোঝিকোডের এক আরএসএস সমর্থক ব্যবসায়ীর নাম উঠে আসছে। যে ব্যবসায়ীরই এই ৩.৫ কোটি টাকা লুঠ হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। সেই ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, তিনি এই টাকা বিজেপির এক যুব মোর্চা নেতার থেকে পেয়েছেন। ফলে ঘটনার জটিলতা ক্রমেই চাঞ্চল্যকর দিকে যাচ্ছে বলে অনুমান অনেকের।
রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে বিজেপি কতটা পিছনে, রাজনৈতিক সমীকরণ একনজরে
বিজেপির জাতীয় স্তরের নেতারাও কি জল্পনায়?
পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনার কিনারা করতে একাধিক বিজেপি নেতাকে পর পর তলব করা হচ্ছে। এই পরিমাণ টাকার উৎস জানতে বিজেপির জাতীয় স্তরের নেতাদেরও প্রয়োজন হলে ডাকা হতে পারে বলে কেরল পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, লুঠ করা অর্থ বিভিন্ন জায়গায় ভাগাভাগি হয়েছে আর এই অর্থ একজোট করতে কেরল জুড়ে রুদ্ধশ্বাস অপারেশন শুরু করেছে পুলিশ।