ইয়াসের সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১৬৫ কিলোমিটার!
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ইয়াসের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার। পারাদ্বীপ থেকে সাগরদ্বীপের মধ্যে আছড়ে পড়ার আগে বুধবার সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ১৬৫ কিলোমিটার। কোনও কোনও আবহিবদ বিশ্লেষণ করেছেন ঝড়ের গতিবেগ সর্বোচ্চ ১৮৫ কিলোমিটারও হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পারাদ্বীপ ও সাগরের মধ্যে আছড়ে পড়বে
সরকারিভাবে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সমুদ্রে শক্তি বাড়িয়ে ২৬ মে বুধবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পারাদ্বীপ ও সাগরের মধ্যে উপকূল ছুঁতে পারে বলে আভাস দিয়েছে। সমুদ্রবক্ষে যত দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস, ততই শক্তি বাড়তে থাকবে। বাড়বে গতিবেগও, এমনটাই মনে করছে হাওয়া অফিস।
বুধবার সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ গতিবেগে পৌঁছবে ঘূর্ণিঝড়
আলিপুর হাওয়া অফিসের সহ অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সোমবার থেকেঅ প্রভাব পড়বে ঘূর্ণিঝড়ের। ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইবে। মঙ্গলবার ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইবে উপকূলবর্তী এলাকায়। বুধবার দুপুরে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইবে। আর আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের গতিবেগ হবে ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের অভিঘাত আম্ফানের থেকেও বেশি
আম্ফান ১৫৬ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়েছিল বকখালিতে। সেই তুলনায় ইয়াসের সর্বোচ্চ গতিবেগ বেশি হবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। হওয়া অফিস আগে জানিয়েছিল, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এমনই এক প্রকৃতির ঝড় যার অভিঘাত অনেক বেশি। ১২০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়লে তার অভিঘাত হবে ১৭০ কিলোমিটারের মতো। এখন দেখা যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের গতিবেগ হবে ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার।
আম্ফানের থেকে অনেক বড় জায়গা নিয়ে এগোচ্ছে ইয়াস
তারপর আবহবিদরা জানিয়েছেন, পূর্ব ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের ব্যাস অনেক বেশি। আম্ফানের ব্যাসার্ধ ছিল ৪৫০ কিলোমিটার, আর ইয়াসের ব্যাসার্ধ ৬০০ কিলোমিটার। আম্ফানের থেকে অনেক বেশি জায়গা নিয়ে এগোবে ইয়াস। আয়তনে অনেকটাই বড় ঘূর্ণি ইয়াস। আম্ফান ৯০০ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে এগিয়েছিল, আর ইয়াস এগোচ্ছে ১২০০ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে।