একের পর এক নেতা বিজেপি ছাড়তে চাইছেন
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় গতি আসে ডিসেম্বর মাস থেকে। বলা যেতে পারে মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় শুভেন্দু অধিকারীর যোগদানের পর থেকে। তৃণমূল থেকে বড়-মেঝো, সেজো অনেক নেতাই যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। আর তৃণমূল ছাড়ার সময় এইসব নেতানেত্রীরা বলেছিলেন দলে দমবন্ধ করার মতো পরিস্থিতি। আর বিজেপি নির্বাচনে হারার পর থেকেই উল্টো চিত্র। নেতানেত্রীরা তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন।
কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায়, সেই সরাসরি ফোনে করছেন আবেদন
সাতগাছিয়ার ৪ বারের বিধায়ক সোনালী গুহ। এবার তৃণমূলে প্রার্থী তালিকায় জায়গা না পেয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। শনিবার তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলে ফেরার জন্য আবেদন করেছেন। বলেছেন বিজেপিতে তাঁর দম বন্ধ হয়ে আসছে। তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়ে ভুল করেছেন। একইভাবে ভাবে কোনও সময় দীপেন্দু বিশ্বাস আবার তৃণমূলের টিকিট পাওয়া সরলা মুর্মু, অমল আচার্যরা বিজেপি মায়া কাটিয়ে ফেলেছেন। সোনালী গুহের মতো সরলা মুর্মু, অমল আচার্য চাইছেন তৃণমূলে ফিরতে। অন্যদিকে দীপেন্দু বলছেন, যদি দিদি বলেন, তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন।
ছয়মাস মনিটরিং করা হোক
এদিন বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, দমদমের তৃণমূল সাংসদ তথা দলের মুখপাত্র সৌগত রায়। তিনি দাবি করেছেন, রোজ তাঁকে অনেকেই ফোন করছেন তৃণমূলে পিরতে চেয়েছে। তবে তিনি ছয়মাস মনিটরিং করার পক্ষে। অর্থাৎ যাঁরা দল ছেড়েছিলেন, তাঁরা সামনের ছয়মাস দলে ঢুকতে পারবেন না। তবে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মত বলেও জানিয়েছেন। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, রাতারাতি বলছে দলে ফিরবে।
এখন ফেরালে হতাশ হবে বদলের কর্মীরা
সৌগত রায় বলেছেন, যাঁরা বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন, তাঁদের এই মুহুর্তে দলে ফেরত নিলে যাঁরা যান কবুল করে নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন, তাঁরা হতাশ হবেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি বিজেপিকে টার্গেট করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ভোটের আগে বিজেপি টাকা ও গুণ্ডা দিয়ে তৃণমূলের ওপরে অত্যাচার করেছে।প্রসঙ্গত শনিবার দলের অপর মউখপাত্রা কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, যাঁরা ফিরতে চাইছেন, তাঁদের ব্যাপারে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবেন দলের নেত্রী। আর এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের হিসেবে পরিচিত সৌগত রায় ছয়মাসের কথা বলায় পরিষ্কার হয়ে গেল, আপাতত কাউকেই ফেরানো হচ্ছে না। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।