দেশে পজিটিভ কেসের হার হ্রাস পেলেও উদ্বেগ মৃত্যু নিয়ে, মৃতের সংখ্যা তিন লক্ষের গণ্ডিতে

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে ২২ মে একদিনে রেকর্ড সংক্রমণের সংখ্যা ২,৪০,৭৬৬ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩,৭৩৬ জনের। এখনও পর্যন্ত ভারতে ২,৬৫,২৮,৮৪৬টি কেস এবং মৃত্যুর সংখ্যা ২,৯৯,২৯৬ টি।

নতুন করে আক্রান্ত

এরমধ্যে তামিলনাড়ুতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫,৮৭৩জন, এরপরই রয়েছে কর্নাটক (‌৩১,১৮৩)‌ ও কেরল (‌২৮,৫১৪)‌। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে ৬৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই তালিকায় রয়েছে কর্নাটক (‌৪৫১)‌ ও তামিলনাড়ু (‌৪৪৮)‌। মহারাষ্ট্রে আগের মৃত্যুর ঘটনাও যোগ করা হয়েছে যা পূর্ববর্তী রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়নি। ২১ মে দেশে ২০,৬৬,২৮৫ জনের নমুনা টেস্ট করা হয়েছে, যা দেশে মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে একদিনে সর্বোচ্চ। দৈনিক টেস্টের ক্ষেত্রে ভারতে এটা চতুর্থবার যেখানে ২০ লক্ষের গণ্ডি পেরিয়েছে দেশ।

দেশে হ্রাস পাচ্ছে পজিটিভ হার

ভারতে দৈনিক গড় টেস্ট পজিটিভ হার ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। ৯ মে যেখানে দেশে পজিটিভ হার ছিল ২২.‌৭ শতাংশ, সেখানে ২১ মে এসে দাঁড়িয়েছে ১৪.‌২ শতাংশ। তবে দেশের সব রাজ্যে এই হ্রাসের প্রবণতা দেখা যায়নি। প্রধান রাজ্যের মধ্যে তামিলনাড়ুতে দৈনিক গড় টেস্ট ও দৈনিক গড় পজিটিভ হার দু'‌টোই বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজ্য সরকার পরামর্শ দিয়েছে যে টেস্টিং বাড়ালে আরও সংক্রমণ ধরা পড়বে।

পজিটিভ হার কমেছে যে সব রাজ্যে

অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্নাটকে গড়ে দৈনিক পজিটিভ হার কিছুটা কমেছে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহের পর থেকে এই রাজ্যে পরিচালিত প্রতিদিনের পরীক্ষাগুলির সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে। এটি রাজ্যের পক্ষে সর্বোত্তম কৌশল নয়, কারণ রিপোর্ট করা সংক্রমণ কম পরীক্ষার কারণে হয়েছে এবং কেসগুলির একটি ‘‌কৃত্রিম'‌ শিখর চিত্রিত করা হয়েছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় অন্ধ্রপ্রদেশে গড়ে প্রতিদিনের পরীক্ষা নিয়মিত বেড়েছে। দেশের পরিসংখ্যানগুলিতে লাদাখের কেস ও মৃত্যু সংযুক্ত করা নেই।

অ্যালোপ্যাথি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, রামদেবকে আইনি নোটিশ পাঠালো আইএমএঅ্যালোপ্যাথি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, রামদেবকে আইনি নোটিশ পাঠালো আইএমএ

মোট ভ্যাকসিন ব্যবহৃত হয়েছে

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রেস বিবৃতি অনুযায়ী, ১৪.‌৫৮ লক্ষ ভ্যাকসিন ডোজ গত ২৪ ঘণ্টায় ব্যবহার করা হয়েছে। যা আগের ২৪ ঘণ্টায় ব্যবহৃত রেকর্ড ডোজের চেয়ে ২৪ হাজার কম। তবে, এক সপ্তাহ আগে, একই সময়ে যা রেকর্ড করা হয়েছিল তার চেয়ে ৩.‌৫ লক্ষ ডোজ বেশি। দৈনিক টিকাকরণ এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে অনেক কম হয়ে গিয়েছে। ১-২১ মে-এর মধ্যে দেশে দৈনিক গড় টিকাকরণের সংখ্যা ১৬.‌৬৭ লক্ষ ডোজ, যা উল্লেখযোগ্যভাবে খুবি কম এপ্রিলের দৈনিক গড় ডোজগুলির ক্ষেত্রে, যা দাঁড়িয়ে রয়েছে ২৯.‌৯৬ লক্ষে।

প্রথম ডোজ পেয়েছে

২১ মে পর্যন্ত, ভারতের ১৬ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিক, ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে ৩৫.‌৭ শতাংশ নাগরিক এবং ষাটোর্ধ্ব নাগরিকের ৪১.‌৩ শতাংশ প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছে। তামিলনাড়ু এবং উত্তরপ্রদেশে, প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ১০ শতাংশের কম লোককে কমপক্ষে একটি ডোজ দেওয়া হয়েছে।

More CORONAVIRUS News  

Read more about:
English summary
The death toll from the coronavirus in the country is close to three lakh, centre concern