হায়দরাবাদঃ দেশের সর্বত্র যেখানে করোনা আক্রান্তের খবরে উদ্বিগ্ন সবাই। সেখানে হায়দরাবাদ (Hyderabad) থেকে উঠে এল এক হৃদয়স্পর্শী খবর। করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠল এক মাস বয়সী শিশু কন্যা। ছাড়াও পেল হাসপাতাল থেকে। এই খবরে মহামারীর আতঙ্কের পরিবেশের মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে দেশবাসী। জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত মা জন্ম দেয় ওই শিশু কন্যাকে। জন্মের এক সপ্তাহের মধ্যেই ওই শিশুরও করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তৎক্ষণাৎ তাকে ভর্তি করা হয় শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল। সেখান থেকেই এদিন করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফেরে ওই শিশু কন্যা (Youngest COVID Survivor)।

মা বালা মউনিকা করোনা আক্রান্ত হয়ে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ছিলেন। গুরুতর শারীরিক অবস্থার কারনে মাত্র ২৮ সপ্তাহে ১০০০ গ্রাম ওজনে জন্ম দেন ওই শিশু কন্যাকে। জন্মের পর সোয়াব টেস্টে করোনা রিপোর্ট নেতিবাচক আসে নবজাতকের। কিন্তু এক সপ্তাহ বাদে ফের পরীক্ষা করাতে ওই একরত্তি মেয়ের শরীরে করোনা ধরা পড়ে। জন্মের অষ্টমীতে দাঁড়িয়ে শিশুর অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাস পাচ্ছিল এবং দেখা দিতে থাকে প্রবল শ্বাসকষ্ট । শিশুটির ওজন আরও ৮০ গ্রাম কমে দাঁড়িয়েছিল মাত্র ৯২০ গ্রামে। তাকেও দ্রুততার সঙ্গে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে পাঠানো হয় এবং পরে ওই নবজাতককে আইসোলেশন আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।

সেখান থেকেই প্রাণঘাতী ভাইরাসকে পরাজিত করে শিশুটি আজ দেশের সবথেকে ছোট করোনাজয়ী। হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানালেন, শিশুটি ভেন্টিলেটরে থাকাকালীন তার বাবা-মা সহ পরিবারের বাকি সদস্যরাও করোনা আক্রান্ত হওয়ায়, তাকে সশরীরে কেউই দেখতে আসতে পারেননি, ভিডিও কলেই তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিয়েছে পরিবারের লোকজন।

প্রসঙ্গত, মনে হচ্ছে এবার করোনার (COVID-19) দ্বিতীয় ঢেউয়ের (Second Wave) ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠতে চলেছে দেশ। পরপর কয়েকদিন ধরেই কমছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। এদিন মৃত্যুর সংখ্যাও নেমে এসেছে ৪ হাজারের নিচে। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Health Ministry) দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৪০ হাজার ৮৪২ জন। শনিবারের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা এদিন অনেকটাই কম।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.