স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা : হাওড়া , কলকাতা , হুগলি তিন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ( Thunderstorm) বৃষ্টিপাতের (rain) পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। স্থানীয় মেঘ(local cloud) জমে এই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ঝড়ের সম্ভাবনা নেই। হতে পারে বৃষ্টি।

শনিবার সকাল থেকেই পারদ(mercury) প্রায় ত্রিশ ছুঁই ছুঁই। মেঘলা আকাশে অবস্থা ব্যাপক অস্বস্তিকর। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতার(humid) পরিমান সর্বোচ্চ ৮৯ শতাংশ , সর্বনিম্ন ৩৭ শতাংশ। আগামী কয়েকদিন স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তি বাড়বে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ছিল ২৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি, বুধবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯২ সর্বনিম্ন ৫৩ শতাংশ।

বুধবার কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ২৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি, মঙ্গলবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯১ সর্বনিম্ন ৪৬ শতাংশ। বৃষ্টি হয় ২.১ মিলিমিটার।

মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ২৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি, সোমবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতার(humidity) পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮৯ সর্বনিম্ন ৪৭ শতাংশ। অর্থাৎ চলতি সপ্তাহে সঙ্গী শুধুই অস্বস্তিকর গরম তা স্পষ্ট হাওয়া অফিসের এই অঙ্ক থেকেই। স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে কীভাবে বেড়েছে সকালের তাপমাত্রা।

এদিকে আজ থেকেই নিজের খাবার তৈরি করা বেশি করে শুরু করবে ঘূর্ণিঝড় যশ (yaas)। ফলে অস্বস্তিকর গরম (humid weather) বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় এল নিনো ও সাউথ অক্সিলেশনের প্রভাবে। সেই পরিস্হিতি বঙ্গোপসাগরে বর্তমান। তাই ঘূর্ণিঝড় যে হবে সেই সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি।

সমুদ্রের উপরিভাগের উত্তাপ ও বাতাসের উপরে তৈরি হয় এই এল নিনো ও সাউথ অক্সিলেশন পরিস্থিতি। এবার এই পরিস্থিতি যত জোড়ালো হবে তত ঝড়ের সম্ভাবনা বাড়বে। আর এই ঝড় তার শক্তি বৃদ্বির জন্য বাতাসের সমস্ত জ্বলীয় বাষ্পকে টানতে শুরু করে।

এর ফলে প্রকৃতির যে হাওয়া থাকে তাও সমুদ্র শুষে নিতে শুরু করে। তৈরি হয় বড় সিস্টেম যা ক্রমে অতি গভীর নিম্নচাপ ও আরও পরে আশেপাশের অঞ্চল থেকে খাবার বা ওই হাওয়া শুষে নিয়ে পেট ভরিয়ে নেয় এবং পরে উগড়ে দেওয়ার সময় হয় ঝড়ের তান্ডব। আজ শনিবার , সেই ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেওয়ার আগে আরও বেশি করে তার খাদ্য সংগ্রহ করা শুরু হবে। তবেই না সে এগোতে পারবে তার শক্তি নিয়ে। এমনটাই বলছেন আবহাওয়াবিদরা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.